সানোফি বাংলাদেশ লিমিটেড ওয়ার্কার্স এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সংবাদ সম্মেলন /ছবি- ঢাকা পোস্ট

সানোফিকে আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সানোফি বাংলাদেশ লিমিটেড ওয়ার্কার্স এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বসার আহ্বান জানিয়েছেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব কুমার চক্রবর্তী। ওই সময়ের মধ্যে সানোফি স্বেচ্ছায় না বসলে ৪৮ ঘন্টা পরে আবারও জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও জানান তিনি।

রোববার (২৪ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

সঞ্জীব কুমার চক্রবর্তী লিখিত বক্তব্যে বলেন, সানোফি ম্যানেজমেন্ট ট্রেড ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনা না করে একতরফাভাবে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একতরফা সিদ্ধান্ত নেওয়া জাতীয় ও আন্তর্জাতিক শ্রম আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। 

তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সাধারণ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছে। তাদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করছে সানোফি ম্যানেজমেন্টের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা। শুধু তাই নয়, অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী কমিটির সদস্যদেরও বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। একদিকে আমরা আমাদের দাবি দাওয়া পূরণ না হওয়া নিয়ে শঙ্কিত, অন্যদিকে এই ধরনের হুমকির কারণে বিপর্যস্ত।

সঞ্জীব আরও বলেন, গত ৬২ বছর ধরে সানােফি বাংলাদেশে সুনামের সঙ্গে লাভজনক ব্যবসা করে আসছে। হাজারো কর্মকর্তা-কর্মচারীর অক্লান্ত পরিশ্রমে তিল তিল করে গড়ে উঠা সানােফি তার শেয়ার বিক্রি করে দেশ থেকে চলে যাচ্ছে। কিন্তু তারা তাদের কর্মীদের কোনও প্রকার আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে না। স্যানােফি বিশ্বের অন্য দেশে এ ধরনের শেয়ার বিক্রি বা ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে তার এমপ্লয়িজদের সবসময় যথাযথ আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিয়ে থাকে। শুধু বাংলাদেশেই এমপ্লয়িজদের বঞ্চিত করার পাঁয়তারা করছে। বিষয়টি অবাক করার মতো।

তিনি সানোফিকে এমপ্লোয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আশা করি সানোফি মানেজমেন্ট আমাদে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়াসহ অন্যান্য যৌক্তিক দাবি মেনে নিবেন। আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সানােফি বাংলাদেশ লিমিটেড ওয়ার্কারস এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী কমিটির সঙ্গে আলােচনায় বসবেন। না হলে আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে আবারও সংবাদ সম্মেলন ডেকে পরবর্তী কঠোর কর্মসূচি ঘোষণী করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সভাপতি নুরুজ্জামান রাজু, শ্রমিক নেতা রাজেকুজ্জামান রতন ও প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

এইচএন/ওএফ