ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি প্রজন্ম’৭১ এর
সাম্প্রদায়িক সংস্কৃতি রুখতে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করাসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সন্তানদের সংগঠন প্রজন্ম’৭১।
শুক্রবার (২২ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এই দাবি জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
সংগঠনটির অন্যান্য দাবিগুলো হচ্ছে— রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল করে বাহাত্তরের সংবিধানে প্রত্যাবর্তন করা; সব ধর্মের মানুষের নির্ভয়ে ধর্মীয় উৎসব পালনের নিশ্চয়তা দিতে হবে; স্কুল পর্যায়ে পাঠ্যপুস্তক সাম্প্রদায়িকতামুক্ত করে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস অবশ্য পাঠ্য করতে হবে এবং এলাকাভিত্তিক ও দেশ জুড়ে সম্মিলিত সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
মানববন্ধনে সংগঠনটির যুগ্ম সম্পাদক নুজহাত চৌধুরী শম্পা বলেন, যে মূলনীতিকে ভিত্তি করে, যে অসাম্প্রদায়িকতাকে প্রগতিশীল বাঙালি জাতীয়তাবাদে উদ্বুদ্ধ করে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই স্বপ্নকে বারবার ভূলুণ্ঠিত করে, আক্রমণ করে একই চেনা শত্রু। পূজামণ্ডপে হামলার দৃশ্য প্রতিবছরই আমরা দেখছি। সেই চেনা শত্রুদের ছোবলে আমরা বিষে নীল হয়ে মরে যাব, সেটা কিন্তু না। আমরা বারবার ফিনিক্স পাখির মতো উঠে দাঁড়াব।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, আমরা দেশ ছাড়ব না। বাংলাদেশ আমাদের বাবাদের রক্তে রঞ্জিত পবিত্র ভূমি। বাংলাদেশকে অসাম্প্রদায়িক রাখবো এবং তার জন্য প্রয়োজন হলে রক্ত দেবো।
মানববন্ধনে অন্যান্য বক্তারা বলেন, শুধু আইন প্রয়োগ করেই সাম্প্রদায়িক রাজনীতির সংস্কৃতি থামানো যাবে না। দেশের সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম প্রতিষ্ঠা ও বলবত রাখার মধ্যে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম অঙ্গীকার তথা বঙ্গবন্ধু প্রণীত ১৯৭২-এর সংবিধানের চার মূলনীতির অংশ ধর্মনিরপেক্ষতার মুখে কালিমা লেপন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সাম্প্রদায়িক সংস্কৃতি ও রাজনীতির চর্চাকে অবাধ করা হয়েছে সমাজের সর্বস্তরে।
তারা বলেন, গত বছর বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যবিরোধী সন্ত্রাসও এই সাম্প্রদায়িক রাজনীতির ধারাবাহিকতা। একইসঙ্গে আমরা দেখেছি সুপরিকল্পিতভাবে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সংশ্লিষ্ট কোনো সিলেবাস প্রণয়ন করা হয়নি। বরং সাম্প্রদায়িকতার বীজ বপন করা হয়েছে। দেশ সাম্প্রদায়িকতা থেকে মুক্ত হয়নি। উল্টো সাম্প্রদায়িক রূপ আরও জটিল এবং গভীর হয়েছে।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন প্রজন্ম’৭১ এর সভাপতি আসিফ মুনীর তন্ময়, সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইফুদ্দিন আব্বাস, যুগ্ম সম্পাদক বশীর আহমেদ প্রমুখ।
এমএইচএন/এমএইচএস