রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার নবোদয় হাউজিং এলাকায় রিকশা থামিয়ে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় আহত গার্মেন্টস কর্মী আয়েশা সিদ্দিকার (২২) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ট্রাক চালক সেকুলকে (৩০) আটক করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) সকালে এ ঘটনা ঘটে। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল সাড়ে ৪টায় মারা যান ওই নারী।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আবুল কালাম ভূঞা ঢাকা পোস্টকে বলেন, সকালে এক গার্মেন্টস কর্মীর পিছু নেয় ট্রাক চালক সেকুল। মোহাম্মদপুর থানা এলাকার নবোদয় হাউজিংয়ে ওই গার্মেন্টস কর্মীকে রিকশা থেকে নামিয়ে আঘাত করে সে। পরে ওই নারীকে ঢামেকে নেওয়া হয়, চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে তার মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয়রা সেকুলকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশকে খবর দেয়।

তিনি আরও জানান, আটক ট্রাক চালক জিজ্ঞাসাবাদে আমাদের জানিয়েছে তার স্ত্রী বাসা থাকে টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে। সে জানতে পারে তার স্ত্রী সকালে রিকশায় বের হবে। পরে স্ত্রী মনে করে বোরখা পরা ওই নারীর পিছু নেয় সে। নবোদয় হাউজিং এলাকায় ওই নারী এলে তাকে রিকশা থেকে নামিয়ে ছুরিকাঘাত করে সে। আঘাত করার পর বোরখার মুখ খুলে দেখে এই নারী তার স্ত্রী নয়। 

পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল কালাম ভূঞা বলেন, এ ঘটনায় এখনও থানায় কোনো মামলা হয়নি। রাতে মামলা হলে আগামীকাল (শনিবার) সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হবে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে।

পরিদর্শক আরও জানান, প্রথমে আমরা ভেবেছিলাম এটা কোনো ছিনতাইয়ের ঘটনা। পরে জিজ্ঞাসাবাদে আটক সেকুল আমাদের কাছে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছে। সেকুল গাবতলী এলাকায় থাকত। তার বাড়ি কিশোরগঞ্জের তাড়াইল থানার চন ভিটা গ্রামে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, আহত ওই গার্মেন্টস কর্মী চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে মারা গেছে। মোহাম্মদপুর থানা বিষয়টি তদন্ত করছে।

এসএএ/এসএসএইচ