বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্যের গ্লাসগোতে বিশ্বনেতাদের সঙ্গে ‘কপ২৬’ জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। পৃথিবী নামের এই গ্রহের ভাগ্য নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের পটভূমিতে এই শীর্ষ সম্মেলনকে ‘লাস্ট, বেস্ট হোপ’ নামে অভিহিত করা হয়েছে। 

বিশ্বনেতারা গ্লাসগোতে পৌঁছালে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস তাদের শুভেচ্ছা জানান। সম্মেলনে প্রায় ১২০টি দেশের নেতাদের তারা স্বাগত জানান।

এদিকে কপ২৬ সম্মেলনের ‘সিভিএফ-কমনওয়েলথ হাই-লেভেল ডিসকাশন অন ক্লাইমেট প্রসপারিটি পার্টনারশিপ’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভাষণে তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র দেশগুলোর জন্য ধনী দেশগুলোর কাছে ‘অর্থায়ন চাহিদার’ স্বীকৃতি চেয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) ৪৮ সদস্য দেশ মোট বৈশ্বিক নির্গমনের মাত্র পাঁচ শতাংশের জন্য দায়ী, অথচ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব এসব দেশের মানুষের জীবন ও জীবিকার জন্য মৌলিক হুমকি সৃষ্টি করেছে।

কোভিড ১৯ মহামারিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের শক্তিশালী, সাহসী ও দায়িত্বশীল পদক্ষেপ এবং কার্যকর সহযোগিতার তাৎপর্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে একইভাবে পর্যাপ্ত জলবায়ু অর্থায়ন ও প্রযুক্তি হস্তান্তরের জন্য আমাদের দুর্বলতা ও প্রয়োজনীয়তাকে অবশ্যই স্বীকৃতি দিতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, প্রধান নির্গমনকারী দেশগুলোকে ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় আমাদের প্রচেষ্টায় সমর্থন করার জন্য তাদের বাধ্যবাধকতা’ পূরণ করতে হবে।

প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নে সিভিএফ ও কমনওয়েলথ দেশগুলোর যৌথ পদক্ষেপের পাশাপাশি বাস্তবসম্মত, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং স্থানীয়ভাবে প্রাধান্য দিয়ে সমাধান খুঁজে বের করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন প্রধানমন্ত্রী।

জেডএস