চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়ে আইসিইউতে থাকা শিক্ষার্থী মাহাদী জে আকিবের (২১) অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তিনি চিকিৎসকের সঙ্গে হ্যান্ডশেক করেছেন, খাবারও খেয়েছেন। 

বুধবার রাতে চমেক হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক এস এম নোমান খালেদ চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য জানান। 

তিনি বলেন, আকিবের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। আজ তিনি আমার সঙ্গে হ্যান্ডশেক করেছেন। তাকে আজ তরল খাবার দেওয়া হয়েছে। তিনি খাবার খেয়েছেন, বিছানায় উঠে বসেছেন। আকিব শঙ্কামুক্ত, এ কথা এখনই বলব না। কিন্তু সন্তোষজনকভাবে তার উন্নতি হচ্ছে।

এর আগে গত রোববার এই চিকিৎসক জানান, আকিবের মাথার হাড় ভেঙে গেছে। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে। এ অবস্থায় অপারেশন করে মাথার হাড়ের একটা অংশ খুলে আপাতত তার পেটের চামড়ার নিচে রাখা হয়েছে। কিছুটা উন্নতি হলে সেটি আবার আগের জায়গায় প্রতিস্থাপন করা হবে। এ কারণে মাথার ব্যান্ডেজে লিখে দেওয়া হয়েছে, ‘হাড় নেই, চাপ দেবেন না’। সঙ্গে এঁকে দেওয়া হয়েছে বিপজ্জনক চিহ্ন। রোববার জ্ঞান ফেরে আকিবের। সোমবার চিকিৎসকরা জানান, আরও ৭২ ঘণ্টা তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।  

গত শুক্রবার রাতে ও শনিবার দিনের বেলা চমেক ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের জের ধরে চমেক অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
 
সংঘর্ষে আকিবের আহত হওয়ার ঘটনায় ১৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার রাতে পাঁচলাইশ থানায় মামলাটি দায়ের করেন কলেজের পঞ্চম বর্ষের ছাত্র তৌফিকুর রহমান। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মারধরের একপর্যায়ে আকিবের মাথায় আঘাত করা হয়েছে। আকিবকে হকিস্টিক ও বোতল দিয়ে আসামিরা আঘাত করেছে।  

চমেক সূত্রে জানা গেছে, সংঘর্ষে জড়ানো একটি পক্ষ চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন এবং আরেকটি পক্ষ শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে নিজেদের পরিচয় দেন। আহত আকিব মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী বলে জানা গেছে। 

কেএম/আরএইচ/জেএস