বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তরুণীর সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপ-পরিদর্শক তাওহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার জাহানের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই তরুণী। 

ঢাকা পোস্টকে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী রুবেল পাল। তিনি বলেন, আসামির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪৯৩ ও ৪২০ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য তাওহিদুল ইসলাম বায়েজিদ বোস্তামী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার টৈটং ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুর রাজ্জাকের ছেলে। মাস খানেক আগে তিনি বায়েজিদ থানা থেকে বদলি হয়েছেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১০ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ওই তরুণীর বাসায় গৃহশিক্ষক ছিলেন তাওহিদুল ইসলাম। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তরুণীকে চট্টগ্রাম আদালতে নিয়ে নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ৫২৬২/১৮ ও ৫২৬৩/১৮ নম্বর হলফনামা সম্পাদন করেন তাওহিদুল। বিয়ের যৌথ হলফনামা সম্পাদনের পর স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের বিশ্বাস তৈরি করে ২০১৮ সালের ১ অক্টোবর থেকে বিভিন্ন সময় অভিযোগকারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন তাওহিদুল।

একপর্যায়ে তাওহিদুল পুলিশের এসআই পদে চাকরি পান। ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল সারদা পুলিশ অ্যাকাডেমিতে বহিরাগত ক্যাডেট এসআইয়ের প্রশিক্ষণে যান তাওহিদুল। সারদায় প্রশিক্ষণে যাওয়ার পর এক বছর তাদের মধ্যে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ ছিল। কিন্তু ২০২১ সালের ৯ জুলাই প্রশিক্ষণ শেষে এসআই হিসেবে যোগদানের পর থেকে বিয়ের হলফনামা সম্পাদনের কথা অস্বীকার করেন তৌহিদুল। এছাড়া গত ২৩ সেপ্টেম্বর পুলিশ কমিশনার কার্যালয়েও তাওহিদুল ইসলাম তরুণীর সঙ্গে তার সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেন। তাই ন্যায় বিচারের স্বার্থে ভুক্তভোগী আদালতে মামলা করেছেন।

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে উপ-পরিদর্শক তাওহিদুল ইসলামের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

কেএম/এসকেডি