শাহবাগে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
রাজধানীর শাহবাগে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে এক ব্যক্তিকে হত্যায় জড়িত প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা রমনা বিভাগ। তাকে গ্রেপ্তারের পর হত্যার রহস্য উদঘাটনের দাবি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিএমপি'র মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. ওয়ালিদ হোসেন জানান, মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এব্যাপারে বিস্তারিত জানাবেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার।
ওই ব্যক্তির নাম হামিদুল ইসলাম। তিনি জাসদের শাহবাগ থানা এলাকার সাধারণ সম্পাদক বলে জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
গত শনিবার (২৩ জানুয়ারি) রাতে হাইকোর্ট মাজার সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠের সামনের রাস্তায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন এক ব্যক্তি। এক রিকশাচালক তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার হাতে এবং পায়ে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল।
তাৎক্ষণিক তার পরিচয় জানা যায়নি। পরে রোববার (২৪ জানুয়ারি) স্বজনরা ঢামেকে গিয়ে তার মরদেহ শনাক্ত করেন।
বিজ্ঞাপন
সে সময় হামিদুলের ভাই ওয়াহিদুল জানান, চার ভাইয়ের মধ্যে সবার বড় ছিলেন হামিদুল। তিনি মেয়ে নায়না ইসলাম, ছেলে নাহিদুল ইসলাম ও স্ত্রী নার্গিস আক্তারকে নিয়ে সেগুনবাচিগা হাইস্কুলের পাশে একটি বাসায় থাকতেন। ১৯৯০ সালের পর থেকে তিনি সেগুনবাগিচা ও এর আশপাশের এলাকাতে ডিস লাইনের ব্যবসা করেন। হামিদুলের সঙ্গে কারও শত্রুতা আছে বলে আমরা শুনিনি।
পারিবারিক সূত্র জানায়, পুরান ঢাকার সিদ্দিকবাজারে একটি ভবনে তিনটি ফ্ল্যাট রয়েছে হামিদুলের। সাদেক মিয়া নামে একজন সেখানে ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেন। শনিবার রাতে হামিদুল সাদেকের সঙ্গে হাইকোর্ট মাজারের সামনে দেখা করেন।
সাদেক মিয়া বলেন, রাত ৮টার দিকে হাইকোর্ট মাজারের সামনে দেখা করে হামিদুলকে বাসা ভাড়ার ১২ হাজার টাকা দেন। টাকা দেওয়ার পর ম্যানেজার সাদেক সিদ্দিকবাজারের দিকে ও হামিদুল তার বাসার দিকে চলে যান। রাত দেড়টার দিকে হামিদুলের ছেলে ম্যানেজারকে ফোন করে বলেন, তার বাবা বাসায় ফেরেননি এখনও। এরপর খোঁজ নিতে থাকেন সাদেকও।
সাদেক মিয়া জানান, তিনি জাসদের শাহবাগ থানার সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
ঘটনার পর শাহবাগ থানার ওসি মামুন অর রশিদ বলেন, ধারণা করা হচ্ছে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে হামিদুল নিহত হয়েছেন। তার মানিব্যাগ এবং মোবাইল খোয়া গেছে।
জেইউ/জেডএস