রাজধানীর আদাবরে জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিম শিপন হত্যার মামলার আসামি ‘মাইন্ড এইড’ হাসপাতালের পরিচালক ডা. নিয়াজ মোর্শেদের কারাবন্দি অবস্থায় মৃত্যুতে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছে চিকিৎসক সংগঠন ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি, রাইটস অ্যান্ড রেস্পন্সিবিলিটিজ (এফডিএসআর)।

মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) সকালে ডা. নিয়াজ মোর্শেদের মৃত্যুর বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর এক স্মারকলিপিতে এ দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

এফডিএসআরের চেয়ারম্যান ড. আবুল হাসনাৎ মিল্টন ও মহাসচিব ডা. শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন স্বাক্ষরিত এই স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি, ডা. নিয়াজ মোর্শেদ দীর্ঘদিন যাবত ‘নিউরো মাইলাইটিস অপটিকা’ নামের জটিল স্নায়ুতন্ত্রের রোগে ভুগছিলেন। যার পরিণতিতে তার চার হাত-পা প্রায় প্যারালাইজড হয়ে গিয়েছিল। এ কারণে তিনি প্রায় চলৎশক্তিহীন হয়ে পড়ছিলেন।

‘কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠে বন্দি রেখে এই অসুখের যথাযথ চিকিৎসা সম্ভব নয় জানার পরও তরুণ চিকিৎসক ডা. নিয়াজ মোর্শেদকে দিনের পর দিন কারাগারে বন্দি রেখে তাকে ক্রমশ মৃত্যুর দিকেই ঠেলে দেওয়া হয়েছে।’

এতে বলা হয়, ‘আমরা মনে করি, কারাবন্দি অবস্থায় যথাযথ চিকিৎসা না পেয়ে ডা. নিয়াজ মোর্শেদ মৃত্যুবরণ করেছেন। কারা কর্তৃপক্ষ এই মৃত্যুর দায় কিছুতেই এড়াতে পারে না।’

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, ‘এফডিএসআরের পক্ষ থেকে আমরা বিচারবিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে ডা. নিয়াজ মোর্শেদের মৃত্যুর যথাযথ কারণ উদঘাটনপূর্বক দোষীদের শাস্তি দাবি করছি। আমরা আশা করি, আপনি এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে কারা বিভাগের কর্মকাণ্ডের স্বচ্ছতা ও কারাবন্দির প্রতি সঠিক আচরণ নিশ্চিত করবেন।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আনিসুজ্জামান খান বরাবর পাঠানো এই স্মারকলিপিটির অনুলিপি কারা অধিদফতরের মহাপরিদর্শকের কাছেও পাঠানো হয়েছে।

গত ৫ নভেম্বর (শুক্রবার) রাত ১০টার দিকে জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিম শিপন হত্যার মামলার অভিযুক্ত আসামি রাজধানীর আদাবরের ‘মাইন্ড এইড’ হাসপাতালের পরিচালক ডা. নিয়াজ মোর্শেদ ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ওই রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কারারক্ষীরা তাকে অসুস্থ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

টিআই/এমএইচএস