গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক/ ছবি: পিআইডি

‘সরকারের কাছে পর্যাপ্ত চাল না থাকায় চাল কল মালিক ও ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেছেন, ‘চালের বাজার মিল মালিকদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে’।

মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের মিলনায়তনে আলু, পেঁয়াজ ও চালের দাম বৃদ্ধির কারণ উদঘাটনে গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এ সময় মিলের মালিকরা ও পাইকাররা বাজার পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের কাছে পর্যাপ্ত চাল না থাকায় মিলের মালিকরা সুযোগ নিয়েছেন। বাজার তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। আমরা চিন্তা করছি, আগামী বোরোতে সংগ্রহ বাড়াব। সরকারের গুদামে চাল না থাকলে কোনোভাবেই দাম নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।’

তিনি বলেন, ‘সরকার আমদানি উন্মুক্ত করেছে। চাল আমদানির ওপর ট্যাক্স কমিয়ে ২৫ শতাংশ করেছে। কিন্তু আমদানিকারকরা বলছেন, চাল আমদানির ওপর যে ট্যাক্স আছে এতে যে দাম পড়ে, সে দামে বাজার দরের সঙ্গে বিক্রি করলে তাদের পোষাবে না। তারা ১০ শতাংশ করার দাবি জানাচ্ছে।’ ধান উৎপাদনে নতুন জাত নিয়ে ক্রাশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে মাঠে যাওয়ার কথা বলেন আব্দুর রাজ্জাক।

আলু ও পেঁয়াজের সঙ্কটের কথা তুলে ধরে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘গবেষণায় দেখা গেছে ১০ লাখ টন আলু এবার উৎপাদন কম হয়েছে। করোনাকালে ত্রাণে আলু বিতরণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। তাছাড়া টিসিবির স্টোরেজেও আলু রাখার জায়গা নেই।’ 

তিনি জানান, পেঁয়াজের নতুন জাত বিজ্ঞানীরা উদ্ভাবন করলেও পর্যাপ্ত বীজ পাওয়া যাচ্ছে না। সামার অনিয়নের (গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ) জাত এলেও পর্যাপ্ত পরিমাণ উঁচু জমি নেই। এ বিষয়ে কাজ করবেন বলে জানান তিনি।

একে/এফআর