অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছ থেকে বাংলাদেশ যে সহযোগিতা ও সমর্থন পেয়েছে, তা অবশ্যই উল্লেখযোগ্য। 

সোমবার (১৫ নভেম্বর) ঢাকায় অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-সংযুক্ত আরব আমিরাত যৌথ কমিশনের (জেসি) পঞ্চম সভায় এ কথা বলেন তিনি। এতে অর্থমন্ত্রী এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতাবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী আহমেদ আলী আল সায়েগ যৌথভাবে সভাপতিত্ব করেন। 

অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত উভয়ই একই সময়ে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছে। ১৯৭৪ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের ঐতিহাসিক সাক্ষাতের মাধ্যমে মাধ্যমে বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে একটি শক্তিশালী বন্ধুত্বের ভিত্তি স্থাপিত হয়। 

দুই দেশের সরকারই সেই পথ অনুসরণ করে বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং উন্নয়ন সহযোগিতা সংক্রান্ত সম্ভাবনাকে আরও কাজে লাগাতে আগ্রহী বলে জানান মন্ত্রী। বাংলাদেশি কর্মী ও পেশাজীবীদের আরও বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতি আহ্বান জানান  তিনি। 

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে করোনা পূর্ব গত এক দশক গড়ে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন সারাবিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসাবে পরিচিত। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত দেশে পরিণত হবে। 

বর্তমানে পাঁচ লাখের বেশি বাংলাদেশি নাগরিক আমিরাতে কাজ করছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিভিন্ন সেক্টরে এখনো অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি আমাদের বন্দর এবং বড় অবকাঠামোর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ, তথ্য প্রযুক্তি এবং যোগাযোগ, কৃষি, মহাকাশ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, চিকিৎসা সেবা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, পিপিপি ইত্যাদি ক্ষেত্রেও বিনিয়োগের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, যৌথ কমিশন সভায় বিষয় পর্যালোচনা করে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে কিছু বিষয় চিহ্নিত করা হয়েছে। সভাটি পারস্পরিক বোঝাপড়া, বন্ধুত্ব এবং শ্রদ্ধাবোধকে সামনে রেখে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনার পর একটি ‘সম্মত কার্যবিবরণী’ সই হয়। পরবর্তী যৌথ কমিশন সভার তারিখ আলোচনার মাধ্যমে পরে নির্ধারিত হবে।

সভায় উভয় প্রতিনিধিদলের দলনেতা ভার্চুয়ালি অংশ নেন। দুই দেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সরকারি সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও সভায় অংশ নেন।

এসআর/আরএইচ