সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা ও উপনেতার পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার সংক্রান্ত সামরিক আমলের আইন বাতিল করে নতুন আইন করতে সংসদে বিল পাস হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদের পঞ্চদশ অধিবেশনে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিরোধী দলের নেতা এবং উপনেতা (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) বিল-২০২১ সংসদে পাসের প্রস্তাব করেন। পরে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।

এর আগে বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।

সংসদে উত্থাপিত বিলের শিরোনামে বিরোধী দলীয় নেতা ছিল। যা সংশোধন হয়ে বিরোধী দলের নেতা করা হয়েছে।

গত ৩ সেপ্টেম্বর বিলটি সংসদে তোলার পর তা পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

বিলটি পাসের প্রক্রিয়ার সময় বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্যরা বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ, হুইপদের মর্যাদা দাবি করেন। একইসঙ্গে বিরোধী দল থেকে সংসদের ডেপুটি স্পিকার নিয়োগের দাবি জানান।

বিলে বলা হয়েছে, বিরোধী দলীয় নেতা সরকারের একজন মন্ত্রীর জন্য ধার্য বেতন, ভাতা, অন্যান্য বিশেষাধিকার পাবেন। আর বিরোধী দলীয় উপনেতা একজন প্রতিমন্ত্রীর সমান বেতন, ভাতা, ও অন্যান্য বিশেষাধিকার পাবেন।

বিরোধী দলীয় নেতা অর্থ স্পিকারের বিবেচনামতে সময় সময় যে সংসদ সদস্য সরকারি দলের বিরোধিতাকারী সর্বোচ্চ সংখ্যক সদস্য নিয়ে গঠিত দল বা অধিসংঘের নেতা।

জাতীয় নির্বাচন শেষে সংসদ গঠনের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পাওয়া রাজনৈতিক দল সংসদে প্রধান বিরোধীদল হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। প্রধান বিরোধীদলের সংসদীয় দল বৈঠক করে বিরোধীদলীয় নেতা ও উপনেতা মনোনীত করে থাকে। পরে তারা স্পিকারকে সেটি লিখিতভাবে জানায়। স্পিকার কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী পদক্ষেপ নিয়ে থাকেন।

এইউএ/জেডএস