কনস্যুলার ও অন্যান্য সহযোগিতার সুবিধার্থে ঢাকায় একটি কূটনৈতিক মিশন খোলার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকাকে অনুরোধ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় দক্ষিণ আফ্রিকার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও সহযোগিতা বিষয়কমন্ত্রী প্যান্ডোরের সঙ্গে এক বৈঠকে এ অনুরোধ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। 

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বৈঠকে উভয়পক্ষ পারস্পরিক স্বার্থ ও সহযোগিতার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছে। ড. মোমেন কৃষি ও সুনীল অর্থনীতিসহ পারস্পরিক স্বার্থের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উভয় পক্ষের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর জোর দেন। তিনি দুই দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের সফর ও ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদলের আদান-প্রদানের গুরুত্ব তুলে ধরেন। এতে একমত পোষণ করেন দক্ষিণ আফ্রিকার মন্ত্রী। 

দক্ষিণ আফ্রিকার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও সহযোগিতা বিষয়কমন্ত্রী ঢাকায় দেশটির প্রতিনিধি দলকে উষ্ণ অভ্যর্থনায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং অনেক ক্ষেত্রে এর তুলনামূলক সুবিধা সম্পর্কে অবহিত করেন। প্যান্ডোর বাণিজ্য, অর্থনৈতিক এবং অন্যান্য চিহ্নিত ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার গুরুত্বের ওপর জোর দেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের বিষয়ে অবহিত করেন মোমেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বে দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা এবং গত এক দশকে অর্জিত বিশাল আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি সম্পর্কে মন্ত্রী প্যান্ডোরকে অবহিত করেন।

বৈঠকে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার কূটনৈতিক সম্পর্কের রজতজয়ন্তী যথাযথভাবে উদযাপনের বিষয়েও আলোচনা হয়। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, প্রিটোরিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে সেমিনার ও বাণিজ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।

ড. মোমেন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুতে দক্ষিণ আফ্রিকার অব্যাহত সহযোগিতা কামনা করেন। একই সঙ্গে তিনি আইএমও এবং অন্যান্য ফোরামে বাংলাদেশের প্রার্থীতায় দক্ষিণ আফ্রিকা সরকারের সমর্থন চান।

এনআই/ওএফ