বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যকার আলোচনাধীন অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার জন্য তাগিদ দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

ঢাকায় চলমান তিন দিনের ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশনের (আইওআরএ) সম্মেলনের ফাঁকে মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) বৈঠকে মিলিত হন ড. মোমেন ও ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেটনো এল. পি. মারসুদি। এ সময় পিটিএ চুক্তির বিষয়ে তাগিদ দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বৈঠকে ড. মোমেন বাংলাদেশ-ইন্দোনেশিয়া দ্বিপাক্ষিক অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তির দ্রুত সমাপ্তির গুরুত্বের উপর জোর দেন, যা বর্তমানে আলোচনাধীন রয়েছে।

মোমেন বলেন, এটি সম্পন্ন হলে অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং পারস্পরিকভাবে উভয়পক্ষের উপকার হবে। এতে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদারে একটি কার্যকর হাতিয়ার হবে। ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের সঙ্গে একমত পোষণ করেন।

বৈঠকে উভয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত পাঁচ দশকে পারস্পরিক স্বার্থের ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিকাশে সন্তোষ প্রকাশ করেন। ইন্দোনেশিয়াকে বিশ্বস্ত বন্ধু আখ্যা দিয়ে মোমেন বলেন, দুই দেশের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক স্তরের মধ্যে চমৎকার বোঝাপড়া ও সদিচ্ছা বিরাজ করছে। দুই মন্ত্রী আগামী বছর দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করতে সম্মত হন।

ড. মোমেন রোহিঙ্গা ইস্যুতে ইউএনজিএ, ওআইসি, মানবাধিকার কাউন্সিলসহ বিভিন্ন প্লাটফর্মে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে সমর্থন দেওয়ায় ইন্দোনেশিয়াকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে আসিয়ানকে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানান।

ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আইওআরএর ২১তম সম্মেলন সফলভাবে ঢাকায় আয়োজন করার জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান।

আইওআরএ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের অবস্থানের কথা মারসুদিকে জানান মোমেন। তিনি বলেন, ভারত মহাসাগর বা ইন্দো-প্যাসিফিকে বাংলাদেশ অবাধ, উন্মুক্ত, শান্তিপূর্ণ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতিতে বিশ্বাসী।

এনআই/এসকেডি