হাতি হত্যা বন্ধে ব্যর্থ কর্মকর্তার পদত্যাগের দাবি
নির্বিচারে হাতি হত্যা বন্ধে ব্যর্থ হওয়ায় প্রধান বন কর্মকর্তার পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে সবুজ আন্দোলন নামে একটি পরিবেশবাদী সংগঠন। সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।
এতে বলা হয়, পৃথিবীর সৃষ্টিলগ্ন থেকে বন্যপ্রাণী ও মানুষ একে অপরের পরিপূরক হিসেবে বিরাজ করছে। মানুষের সঙ্গে যুগ যুগ ধরে সখ্যতা গড়ে উঠেছে বন্যপ্রাণীর। সভ্যতার বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে লোভীরা মেতে উঠেছে টাকার নেশায়। নির্বিচারে হত্যা করছে বন্যহাতি।
বিজ্ঞাপন
একদিকে পরিবেশ বিপর্যয়, অন্যদিকে ক্রমবর্ধমান ঘনবসতি নির্মাণের ফলে বন্যপ্রাণীরা হয়ে পড়েছে নিরুপায়। সম্প্রতি বাংলাদেশে নির্বিচারে বন্যপ্রাণী হাতি হত্যার দায় বন বিভাগ কিংবা পরিবেশ অধিদফতর এড়াতে পারে না।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৯৩২ সাল থেকে হাতি সংরক্ষণের জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছিল। দক্ষিণ এশিয়ার মিয়ানমার ও বাংলাদেশ অধ্যুষিত টেকনাফ উখিয়া অঞ্চলকে নিরাপদ বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ এলাকা ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি ভারতের সীমান্তবর্তী অঞ্চল মেঘালয় সীমান্ত তথা শেরপুর অঞ্চলকে বন্য প্রাণীর জন্য নিরাপদ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়।
বিজ্ঞাপন
একশ্রেণীর অসাধু, দুর্নীতিগ্রস্ত ও অর্থলোভী ব্যক্তিদের যোগসাজশে বন বিভাগ এ অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছে। হাতি সংরক্ষণের জন্য নিরাপদ বনাঞ্চল গড়ে তোলা এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বন বিভাগের সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
সম্প্রতি বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রায় ৪০টি হাতিকে বিভিন্ন কৌশলে হত্যা করা হয়েছে। বন বিভাগের সক্ষমতা বাড়াতে লোকবল নিয়োগ করতে হবে এবং বনের মধ্যে যাতায়াতের জন্য যুগোপযোগী বাহনের ব্যবস্থা করতে হবে।
এএসএস/আরএইচ