সিটি করপোরেশনে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কমিটিতে বস্তিবাসীর প্রতিনিধি রাখাসহ ১১ দফা দাবি জানিয়েছে বেসরকারি ও অলাভজনক উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক। সোমবার (২২ নভেম্বর) কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে এক ভার্চুয়াল সভায় এসব দাবি জানানো হয়। এতে ধারণাপত্র উত্থাপন করেন লেখক ও গবেষক পাভেল পার্থ।

বারসিকের অন্যান্য দাবিগুলো হচ্ছে- ব্যক্তি, পরিবার ও কমিউনিটি পর্যায়ে সচেতনতা বাড়ানো; এলাকায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কমিটি করা ও নিয়মিত মনিটরিং করা; গণমাধ্যমে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সমস্যা ও বস্তিবাসীদের ইতিবাচক ঘটনাগুলো তুলে ধরা; বর্জ্যকে জিম্মি-ময়লার উছিলায় বস্তিবাসীকে জিম্মি না করা; ময়লা নিতে এসে হুমকি না দেওয়া; যত্রতত্র রাস্তায় ও বস্তি এলাকায় বর্জ্য না ফেলা; প্রতিমাসে কর্মকর্তাদের বস্তি, স্টেশন মনিটরিং ও ভিজিট করা; বর্জ্যকে সম্পদে পরিণত করা ও বর্জ্যকে পুনরায় ব্যবহার করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা; স্কুলের শিক্ষার্থী ও যুবদের সঙ্গে সচেতনতা কর্মসূচি অব্যাহত রাখা এবং জাতীয় বাজেটে সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তরিত করার পৃথক ও সুনির্দিষ্ট খাত বরাদ্দ করা।

পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আব্দুস সোবহান বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন হলো একটা সমন্বিত আইন। যেখানে পরিবেশ সংরক্ষণের সার্বিক বিষয়গুলো রয়েছে। ২০১৮ সালে পরিবেশনীতি করা হয় নতুন করে। সেই নীতিমালার ৫টি প্রধান বিষয়ের একটি হলো বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। সরকার পরিবেশ নীতিমালায় এটাকে খুবই গুরুত্ব দিয়ে সংযুক্ত করলেও তার বাস্তবায়ন নেই বললেই চলে। যাদের ওপর দায়িত্ব তারাই ব্যর্থ।

সংলাপে অন্যান্য বক্তারা বলেন, সুষ্ঠু সমাজভিত্তিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য নগরের নিম্ন আয়ের মানুষদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় যুক্ত করা দরকার। তাদের সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কর্মসংস্থানেও তাদের যুক্ত করা জরুরি। নগরের নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য বর্জ্য নেওয়ার মাসিক ফি কমিয়ে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণে রাখতে হবে। এটির তদারকি সিটি করপোরেশনকেই করতে হবে। নগরবস্তির জনগণ, সিটি করপোরেশন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্টরা, প্রশাসন, গণমাধ্যম ও নাগরিক সমাজকে এ কাজে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

সংলাপে আরও যুক্ত ছিলেন বারসিকের সমন্বয়ক মো. জাহাঙ্গীর আলম, নীতি বিশ্লেষক অ্যাডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম, কাপ এর নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রেবেকা সান ইয়াত, ঢাকা কলিং প্রকল্পের টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার সুমন আহসানুল ইসলাম, পবার সম্পাদক মেসবাহ উদ্দিন সুমন, সাংবাদিক এমরান হোসেন, ডিএসকের প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. রকিবুল ইসলাম, বস্তিবাসীদের প্রতিনিধি হোসনে আরা বেগম রাফেজা, হান্নান আখন্দ প্রমুখ।

এমএইচএন/আইএসএইচ/এমএইচএস