নাটোর সদর উপজেলায় এইচএসসি পরীক্ষার্থীর ওপর এসিড নিক্ষেপের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। এতে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠনটি। 

সোমবার মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম ও সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানুর সই করা বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়। 

বিবৃতিতে বলা হয়, এইচএসসি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করছিলেন শিক্ষার্থী। তাকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতো স্থানীয় বখাটে মুহিন ও তার সহযোগীরা। রোববার বিকেলে শিক্ষার্থী প্রাইভেট শেষে ফেরার সময় বখাটে মুহিন তার দুই সহযোগী নিয়ে মোটরসাইকেলে এসে শিক্ষার্থীর পথরোধ করে। 

এক পর্যায়ে বোতলে থাকা এসিড দিয়ে শিক্ষার্থীর মুখ ঝলসে দেয় সে। তখন শিক্ষার্থীর চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এলে তারা দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় ব্যক্তিরা শিক্ষার্থীর উদ্ধার করে স্বজনরা শিক্ষার্থীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

বিবৃতিতে মহিলা পরিষদ বলেছে, আমরা দীর্ঘদিন ধরে লক্ষ্য করছি যে, ঘরে-বাইরে বিভিন্ন কর্মে নিয়োজিত নারী ও কন্যারা অব্যাহতভাবে ধর্ষণ, গণধর্ষণ ও ধর্ষণের পর হত্যা, এসিড সন্ত্রাস, যেন নিপীড়নসহ নানা ধরণের নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ শিক্ষার্থীকে এসিড দিয়ে ঝলসে দেয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে এবং উক্ত ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছে।

একইসঙ্গে শিক্ষার্থীর সুচিকিৎসাসহ তার ও তার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের দাবি জানাচ্ছে মহিলা পরিষদ। পাশাপাশি সারাদেশে সংঘটিত নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনার বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছে।

মহিলা পরিষদ এসিড নিয়ন্ত্রণ, এসিড জাতীয় দ্রব্যের অপব্যবহার রোধসহ এসিড অপরাধ দমন আইন- ২০০২ এর যথাযথ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণসহ এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে জোর দাবি জানাচ্ছে।

জেইউ/আরএইচ