মধ্যপ্রাচ্যের প্রবাসীদের অন্যত্র নিয়োগের চেষ্টা করা হচ্ছে
মধ্যপ্রাচ্যে আগামীর ভবিষ্যৎ খুব সুবিধার নয় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেছেন, আমাদের ১ কোটি ২২ লাখ প্রবাসী আছেন, তাদের অধিকাংশ মিডেল ইস্টে (মধ্যপ্রাচ্যে)। মিডেল ইস্টের আগামীর ভবিষ্যৎ খুব সুবিধার নয়। সেজন্য আমরা অন্যান্য জায়গায় তাদের নিয়োগের চেষ্টা করছি।
বুধবার (১ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন আয়োজিত 'বিজয়ে ৫০ বছরে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সফলতা শীর্ষক' এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
মোমেন বলেন, আমরা চাই, আমাদের জনশক্তি দেশে বিদেশে সফল কর্মসংস্থান সৃষ্টি করুক। রোমানিয়ায় (দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় ইউরোপীয়ান দেশ) যেখানে আগে কোনোদিন কোনো বাঙালি যায়নি, সেখানে ১০ হাজার বাঙালি নেওয়ার ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করা হয়েছে। এখন আমরা নতুন নতুন দেশে নিতে চেষ্টা করছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী যে ধরনের রোডম্যাপ দিয়েছেন তা বাস্তবায়নে কি কি করা দরকার, সে ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছি। তার একটি বড় পদক্ষেপ হচ্ছে এদেশের জনগণের চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা দুটি প্যাকেজ চালু করেছি। একটির নাম দিয়েছি ইকোনমিক ডিপ্লোমেসি। অন্যটি হচ্ছে আমরা আমাদের রফতানি বাড়াতে চাই, রফতানির পরিধি বাড়াতে চাই। এই ব্যাপারে আমরা কাজ করছি এবং বেড়েছেও। ২০০৯ সালে ১২ বিলিয়ন ডলার রফতানি ছিল, এখন আমাদের প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলার রফতানি। আমরা মোটামুটি বাড়িয়েছি, আরও বাড়াতে চাই।
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশ ল্যান্ড অব অপরচুনিটি মন্তব্য করে ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশ ল্যান্ড অব অপরচুনিটি এই ব্র্যান্ড নেইম আমি প্রচার করতে চাই। অর্থনীতির ওপর আমরা জোর দিয়েছি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু অর্থনীতি ইস্যুর উপর খুব জোর দিয়েছিলেন। আমরা সেই একইভাবে জোর দিয়েছি।
বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়াতে সরকার কাজ করছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে যদি কেউ ইনভেস্ট করে তাহলে তার 'রিটার্ন ইন ইনভেস্টমেন্ট হাইস্ট ইন দিস রিজন'। এই রিজনের মধ্যে আমাদের রিটার্ন ইন ইনভেস্টমেন্ট বেশি। আমি বললে অনেকে বিশ্বাস করবে না। আমি এজন্য চাই ওই দেশের লোক, যারা ওখানে থাকেন তাদের নিয়ে, বিভিন্ন হোম ওয়ার্কশপ এবং সেমিনার করে বিদেশিদের মুখ দিয়ে বলাতে চাই বাংলাদেশ ল্যান্ড অব অপরচুনিটি। তখন তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার জন্য আরও আগ্রহী হবে।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী সভাপতি ড. মশিউর মালেক, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. নুরুল ইসলাম ঠাণ্ডু, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব শহিদুল্লাহ খন্দকার প্রমুখ।
এমএইচএন/জেডএস