চট্টগ্রামের খুলশী থানার ঝাউতলা রেলক্রসিং এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্যসহ ৩ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও আটজন আহত হয়েছেন।

শনিবার (৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিনুজ্জামান।

তিনি বলেন, নিহতদের মধ্যে দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- ট্রাফিক উত্তর বিভাগে কর্মরত কনস্টেবল মনির উদ্দিন ও সিএনজি যাত্রী সৈয়দ বাহাউদ্দিন আহমেদ (৩০)। নিহত আরেকজনের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

শাহিনুজ্জামান বলেন, ঝাউতলা রেল ক্রসিংয়ে ষোলশহর থেকে চট্টগ্রাম রেলস্টেশনের দিকে আসা সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও বাসকে ধাক্কা দেয় একটি ডেমু ট্রেন। এসময় রেল ক্রসিংয়ের গেটবারটি লাগানো হয়নি। ফলে সিএনজি অটোরিকশা ও বাস রেললাইনে চলে আসে। এসময় ট্রাফিক পুলিশ মনির রেললাইন থেকে গাড়িগুলোকে সরানোর চেষ্টা করছিলেন। ট্রেনের ধাক্কায় সিএনজিচালিত আটোরিকশাটি ধুমড়ে-মুচড়ে গেছে। 

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ঝাউতলা এলাকার দোকানদার আরিফ উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘটনার সময় খুলশীর দিক থেকে রেলের গেটবারটি ফেলা হয়নি। একসঙ্গে তিনটি গাড়ি রেললাইনের ওপরে চলে আসে। পরে ষোল শহরের দিক থেকে আসা ডেমু ট্রেন সেগুলোকে ধাক্কা দেয়। প্রায়ই এখানে ট্রেনের গেটম্যান থাকে না।

রেলওয়ে পুলিশ সুপার হাসান চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, রেল ক্রসিংয়ে গেটবারটি লাগানো হয়নি বলে আমরা শুনেছি। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় রেলওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল গফুরকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা তিনদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেবেন। কারো অপরাধ পাওয়া গেলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।

এদিকে ঘটনার পর থেকে গেটম্যান আলমগীর পলাতক রয়েছেন।

চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ট্রেনের ধাক্কায় তিনজন নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার কারণ ও গেটম্যান না থাকার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।  

কেএম/এসএম/জেএস