রাজধানীর পূর্ব বাসাবোর হক সোসাইটিতে বাসা ভাড়ার টাকা চাওয়া গলা কেটে ও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মো. জহির মুন্সী (২৬) নামে এক যুবককে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় নাজমুল নামে একজনকে গ্রেফতার করছে সবুজবাগ থানা পুলিশ।

গতকাল (শুক্রবার) দিবাগত রাত ১টায় এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

নিহতের বোনের স্বামী আব্দুল মতিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, মাত্র ২৭ দিন আগে সে বিয়ে করেছে। গতকাল রাত ১১টার দিকে নাজমুল তাকে ফোন করে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে। রাত দেড়টার দিকে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই।

তিনি আরও বলেন, দুই বছর আগে এক সাথে ভাড়া থাকতেন নাজমুল ও জহির। নাজমুলের অন্য জায়গায় চাকরি হলে সে বাসা ভাড়ার ৭ হাজার টাকা না দিয়ে চলে যায়। তিন দিন আগে নাজমুলের সাথে দেখা হয় জহিরের। ওই সময় পাওনা টাকা চাওয়ায় দু’জনের কথা-কাটাকাটি হয়। গতকাল তাকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে। পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় কয়েকজন নাজমুলকে আটক করে পুলিশে দেয়। এ সময় তার সাথে থাকা নাজমুলের বোনের স্বামী আলমগীর পালিয়ে যায়।

মতিন আরও জানান, কদমতলায় জহিরের চায়ের দোকান আছে। তার বাড়ি চাঁদপুর জেলার সদর থানার সাকুয়া গ্রামে। তার বাবার নাম মকলেস মুন্সি।

সবুজবাগ জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মনোতোষ বিশ্বাস ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে নাজমুল নামে একজনকে স্থানীয়রা আটক করে থানায় সোপর্দ করে। নিহতের বাবা মকলেস মুন্সি বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

মনোতোষ আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে নাজমুল আমাদের কাছে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে। আলমগীর নামে আরেকজনকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। 

এসএএ/এনএফ