বাংলাদেশ ওলামা পীর মাশায়েখ মহাজোট নামে একটি জোটের নেতারা বলেছেন, রাজারবাগ দরবার শরীফের সাথে জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের আকাশ-পাতাল পার্থক্য। কারণ, জঙ্গিদের কাজের পদ্ধতি ও চিন্তা-ভাবনার সাথে রাজারবাগ শরীফের কাজের পদ্ধতি ও চিন্তাভাবনায় রয়েছে বিস্তর ফারাক। 

শনিবার (৪ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে এসব কথা বলেন জোটের নেতারা। তারা আরও বলেন, জামায়াত-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে গত ৫০ বছর ধরে নিরলসভাবে কাজ করছে রাজারবাগ শরীফ। আর এজন্য রাজারবাগ শরীফকে যথাযথ মূল্যায়ন করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনাও করেন তারা। 

সমাবেশে বক্তারা বলেন, জঙ্গিদের কাজের ধরন হলো তারা মানুষকে হতাহত করে, ভীত সন্ত্রস্ত করে, অস্ত্র হাতে নিয়ে হুমকি-ধমকি দিয়ে, বোমাবাজি করে, ত্রাস সৃষ্টি করে, অর্থাৎ আইন অমান্য করে তাদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের চেষ্টা চালায়। কিন্তু রাজারবাগ দরবার শরীফের কাজের পদ্ধতি হলো, রাজারবাগ শরীফ রাষ্ট্রের আইন মেনে, জনমত তৈরি করে, সংশোধন, পরিবর্তন ও পরিশুদ্ধকরণের মধ্য দিয়ে ইসলামী আদর্শ প্রতিষ্ঠা করতে চায়। জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের সাথে রাজারবাগ দরবার শরীফের এখানেই মৌলিক পার্থক্য।

বক্তারা বলেন, রাজারবাগ দরবার শরীফের পক্ষ থেকে যদি এ দেশে কোনো ইসলামী আইনের প্রয়োজন অনুভব করা হয়, তখন প্রয়োজনের কথা রাজারবাগ শরীফের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, অধিদফতর বা কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়। তারপরও যদি কাজ না হয়, তখন মিডিয়ার মাধ্যমে জনমত তৈরি, পত্রপত্রিকায় লেখালেখি, প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করা হয় যেন সরকার বুঝতে সক্ষম হয় জনগণের আইনটি প্রয়োজন। প্রয়োজন হলে রাজারবাগ শরীফ সংবিধান অনুয়ায়ী আইনের পরিবর্তন বা পরিশোধন চায়। পাশাপাশি কেউ ধর্মবিরোধী কোনো অপরাধ করলে প্রচলিত আইন অনুয়ায়ী রাজারবাগ শরীফ তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গোপালগঞ্জ দরবারের পীর আল্লামা শোয়াইব আহমদ। উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ উলামা পীর মাশায়েখ মহাজোটের সদস্য সচিব আলহাজ্ব মাও. আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, মোজাদ্দেদিয়া দরবার শরীফের পীর মুহম্মদ মহিউদ্দিন সালেহী, নক্সবন্দী মোজাদ্দেদিয়া দরবারের পীর মুহম্মদ আবদুস সালাম, ফকিরবাড়ি দরবারের পীর ফকির মোসলেহউদ্দিন, বাংলাদেশ জাতীয় মসজিদ বাইতুল মোকাররম মসজিদের প্রধান মুয়াজ্জিন আলহাজ্ব মাওলানা ক্বারী কাজী মাসউদুর রহমান, সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদের সভাপতি হাফেজ মাও: আ: সাত্তার প্রমুখ।

এমএইচএন/এনএফ