জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী - ছবি : ঢাকা পোস্ট

জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে ‘সিরিয়াল কিলার’ বলে আখ্যা দিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, সিরিয়াল কিলার নির্বাচন কমিশনকে বিদায় করে শাস্তির আওতায় আনা দরকার। আমাদের ৪২ জন সিনিয়র সিটিজেন পরিষ্কারভাবে দেখিয়েছেন, তারা (ইসি) বারবারই গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। 

শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন পদ্ধতি বাতিলের দাবি পরিষদের ব্যানারে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, নির্বচন কমিশন দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। তারা (নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে আছেন যারা) সরকারি বেতন পান। এর বাইরে লেকচার দেওয়ার জন্য তারা আলাদা পয়সাও পান। আবার আজীবন পেনশনও চান তারা। দেশের স্বার্থ রক্ষা তাদের লক্ষ্য নয়।

তিনি বলেন, সংবিধান একটা পুঁথি নয়। এটি ধর্মগ্রন্থের মতোই পবিত্র। কারণ, এটি আমার অধিকারকে নিশ্চিত করে। কিসের অধিকার? কে আমার দেশ চালাবে সেটি নির্ধারণের অধিকার, ভোটের অধিকার। কিন্তু আমরা আজকে দেখছি, এই সিরিয়াল কিলার নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করেছে সরকার। এই সরকার নির্বাচিত নয়। তারা রাতের আধারে আমলাদের দ্বারা, পুলিশের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত। তাদের চুরি ডাকাতি পৃথিবীর অনন্য ইতিহাস।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, প্রত্যেকে জানে নির্বাচন কমিশন ঘুমিয়ে আছেন। আর একের পর এক বলছেন নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। মানুষ ভোট দিতে না গেলে তাদের নৈতিক দায়িত্ব খুঁজে বের করা, কেন তারা ভোট দিতে যাচ্ছে না। ভোট দিয়ে লাভ কী হবে? আমি ভোট দেবো এক মার্কায়, যাবে আরেক মার্কায়। আমি ভোট দিতে গেলে রাত্রিবেলা আমার বাড়িতে আক্রমণ করবে। এমন একটা অবস্থা জেনে তো আমরা আমাদের জীবনকে শঙ্কিত করতে পারি না।

আদালত ঘুমিয়ে থাকে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সরকার উপলব্ধি করছে না, আজকে শত ফুল ফুটতে দিতে হবে। শত ফুল ফুটলে তাদের মধ্যে বিকশিত হবে গণতন্ত্র। শত ফুল থাকলেই বাংলাদেশের দুর্নীতির এই অবস্থা হয় না। বাংলাদেশের এমপিদের শাস্তি হয় অন্য দেশের কোর্টে, এর চাইতে লজ্জার কী আছে। অথচ আমাদের বিচারালয় ঘুমিয়ে থাকে। থাকে পাথরের মতো, দেখেও দেখে না। সেখানে নিরপরাধ ব্যক্তির নামে মামলা হয়।

নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে জাফরুল্লাহ বলেন, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব সাহেব ভালো কথা বলেছেন। কিন্তু উনি পদত্যাগ করেন না কেন? উনার নির্বাচন কমিশনে থেকে লাভ কী? আমি মাহবুব তালুকদারকে অনুরোধ করছি আপনি পদত্যাগ করেন। আপনি পদত্যাগ করলে আমাদের শক্তি সঞ্চার হবে। দেশবাসী বুঝবে সেখানে একজন হলেও প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর আছে। এই প্রতিবাদের মাধ্যমে আমরা সৃষ্টি করব নতুন বাংলাদেশ।

এইচএন/এইচকে