দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া সিএনজিচালিত অটোরিকশার পেছনে বাস

চট্টগ্রামের জাকির হোসেন সড়কের ঝাউতলা রেলগেটে ডেমু ট্রেনের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, টেম্পো ও বাসের সংঘর্ষে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, রেলগেটের বার না ফেলায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার সকাল ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর থেকে গেটম্যান মো. আলমগীর পলাতক রয়েছেন। এ ঘটনায় নিহতরা হলেন, ট্রাফিক উত্তর বিভাগে কর্মরত কনস্টেবল মনির উদ্দিন ও সিএনজিযাত্রী সৈয়দ বাহাউদ্দিন আহমেদ ও কলেজ শিক্ষার্থী সাতরাজ উদ্দিন শাহীন।

ঘটনার পরপরই গিয়ে দেখা যায়, ট্রেনের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে রেলগেট থেকে অন্তত ৭-৮ হাত দূরে পড়ে আছে। টেম্পোটি অন্তত ১৫ হাত দূরে পড়ে রয়েছে। পুলিশের উদ্ধারকারী গাড়ি এসে অটোরিকশা ও টেম্পো নিয়ে গেছে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ঝাউতলা এলাকার দোকানদার আরিফ উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, একপাশের রেলবার ফেলা হলেও অন্য পাশেরটি ফেলা হয়নি। গাড়িগুলো রেললাইনের ওপরে ছিল। ট্রেনটি এসব গাড়িকে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও টেম্পোটি দুমড়ে-মুচড়ে গেলেও বাসটির সামান্য ক্ষতি হয়েছে।

মোহাম্মদ হাসান নামের আরকে প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, রেলগেটের বারটি ফেলা হয়নি। এখানে আমি আগেও কয়েকবার দেখেছি, রেলবার না ফেলে গেটম্যান হাতে সিগন্যাল দেন।

ঘটনার বিষয়ে চট্টগ্রামের খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন,  রেলক্রসিংয়ের বারটি ফেলা হয়নি। বার না ফেলার কারণে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও টেম্পোটি একটু এগিয়ে ছিল। পেছন থেকে একটি বাস দ্রুত এসে গাড়ি দুটিকে ধাক্কা দিয়ে রেললাইনের ওপর উঠিয়ে দেয়। বাসের চালক ভেবেছিলেন, ট্রেন আসার আগেই লাইন পার হয়ে চলে যাবেন।  

তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে তখন দায়িত্ব পালন করছিলেন ট্রাফিক কনস্টেবল মো. মনির হোসেন । রেললাইনের ওপরে সিএনজি ও টেম্পো দেখে দৌড়ে আসছিলেন ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল মনির হোসেন। ততক্ষণে ট্রেন চলে আসছে । ট্রেন এসে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও টেম্পোকে অনেকটা দূরে নিয়ে যায়। তখন মনির হোসেন আহত হন । হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় বাসটি জব্দ করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে রেল ও রেলওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে পৃথক দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কেএম/আরএইচ