সরকারি বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) ভিত্তিতে ঢাকা ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। 

বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। সেতু বিভাগের অধীনে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।

কবে নাগাদ ঢাকা ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শুরু হবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শামসুল আরেফিন বলেন, নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এখন এটি টেন্ডারে দেওয়া হবে।

কতগুলো কোম্পানি এবং কোন কোন দেশ থেকে প্রস্তাব এসেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেকগুলো কোম্পানি রয়েছে। তবে কোন কোন দেশ থেকে প্রস্তাব এসেছে, সেই তালিকা আমরা পাইনি।   

ঢাকা শহরের যানজট নিরসনে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ ২০১৭ সালে ‘ঢাকা ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে’ নির্মাণের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনা করে। প্রস্তাবিত এক্সপ্রেসওয়েটি ‘রিভাইজড স্ট্র্যাটেজিক ট্রান্সপোর্ট প্ল্যান (আরএসটিপি)’-এ  উল্লেখিত আউটার রিং রোডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

এক্সপ্রেসওয়েটি নির্মিত হলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যানবাহন পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা শহরে প্রবেশ না করে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে এবং চট্টগ্রাম-সিলেটসহ পূর্বাঞ্চলে সরাসরি চলাচল করতে পারবে। এর ফলে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার যানজট অনেকাংশে কমবে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ৩১৬ একর জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন হবে। এই জমির দাম, স্থাপনা ও অন্যান্য ক্ষতিপূরণ সরকারি খাত থেকে যোগান দেওয়া হবে। এছাড়া প্রকল্প এলাকায় বিদ্যমান পরিসেবাগুলো স্থানান্তরের ব্যয়ও সরকারি তহবিল থেকে করা হবে। 

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারের বালিয়াপুর থেকে নিমতলী-কেরানীগঞ্জ-ফতুল্লা-বন্দর হয়ে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের লাঙ্গলবন্দ পর্যন্ত হবে এ এক্সপ্রেসওয়ে। প্রায় ১৬ হাজার ৩৮৯ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ৩৯ দশমিক ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এক্সপ্রেসওয়েটি নির্মিত হবে।

এসআর/আরএইচ