আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বােধন : ছবি- ঢাকা পোস্ট

শুরু হলো আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব। উৎসবের ১৪তম আসর উদ্বোধন করলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। শুক্রবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে শাহবাগে কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগার চত্বরে সপ্তাহব্যাপী এ উৎসবের উদ্বােধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন তথ্যমন্ত্রী। চিলড্রেন ফিল্ম সােসাইটি বাংলাদেশ-এর আয়ােজনে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, করোনা মহামারির মধ্যে এমন একটি উৎসাহ-উদ্দীপনাপূর্ণ আয়োজন সত্যিই আমাকে মুগ্ধ করেছে। দেশমাতৃকাকে এগিয়ে নিতে এই শিশু চলচ্চিত্র উৎসব বড় অবদান রাখবে বলে আমি মনে করি। তথ্য মন্ত্রণালয় সব সময় এমন আয়োজনের পাশে থাকবে। 

এ উৎসবের মাধ্যমে শিশুদেরকে কীভাবে গড়া যায়, সে পরিকল্পনা করার আহ্বান জানান হাসান মাহমুদ। তিনি বলেন, এটি নিছক চলচ্চিত্র উৎসব নয়। শিশুদের জীবন গড়ায় অবদান রাখতে সক্ষম হবে উৎসবটি। এমন সুন্দর আয়োজনের জন্য ফিল্ম সোসাইটিসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।

রোববার (৩১ জানুয়ারি) থেকে শাহবাগে কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগার চত্বরে শওকত ওসমান মিলনায়তনে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলচ্চিত্র প্রদর্শনী চলবে। এছাড়া জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তন ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলচ্চিত্র প্রদর্শনী হবে। প্রতিদিন সকাল ১১টা, দুপুর ২টা, বিকেল ৪টা ও সন্ধ্যা ৬টায় শো শুরু হবে। 

এবারের উৎসবে ঢাকার মােট ৩টি ভেন্যুতে ৩৭টি দেশের ১৭৯টি শিশুতোষ চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। প্রতিটি প্রদর্শনীতে একাধিক শিশুতােষ চলচ্চিত্র দেখানাে হবে।

সিনেমা দেখার জন্য কোনাে ধরনের প্রবেশমূল্য না থাকলেও করোনা পরিস্থিতিতে মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। এ বছর মাস্ক পরাকেই চলচ্চিত্র উৎসবের টিকেট হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। উৎসবটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রদত্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিচালনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উৎসব পরিচালক ফারিহা জান্নাত মিম।

উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ বাংলাদেশি শিশুদের নির্মিত চলচ্চিত্র। এ প্রতিযােগিতা বিভাগে ৬১টি চলচ্চিত্রের মধ্য থেকে নির্বাচিত ১৯টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। ১৯টি চলচ্চিত্রের মধ্য থেকে পুরস্কার পাবে সেরা ৫ চলচ্চিত্র। 'ইয়ং বাংলাদেশি ট্যালেন্ট' শীর্ষক বিভাগে ১৯ থেকে ২৫ বছর বয়সী তরুণ নির্মাতারা অংশ নিয়েছেন এ বিভাগে।

মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে রয়েছে 'মুক্তির চলচ্চিত্র' শিরােনামে বিশেষ আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী বিভাগ। একই সঙ্গে রয়েছে আন্তর্জাতিক প্রতিযােগিতা বিভাগ। উৎসবে প্রতিনিধিদের জন্য বিভিন্ন কর্মশালা ও সেমিনারের আয়ােজন করা হয়েছে। এবার মােট ৪টি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে।

এইচকে