‘ভূমিহীনদের ঘর দেওয়া মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় অনন্য মাইলফলক’
আশ্রয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহহীন-ভূমিহীন মানুষকে ঘর দেওয়া হয়েছে, যা মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় অনন্য মাইলফলক বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
শনিবার (৩০ জানুয়ারি) জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (এনএইচআরসি) আয়োজিত জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ উদযাপনে ‘বঙ্গবন্ধু ও মানবাধিকার’ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতার ভার্চুয়াল পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর দর্শন বাস্তবায়নে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে তিনি এগিয়ে যাচ্ছেন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন নিপীড়িত-বঞ্চিত-নির্যাতিত মানুষের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর। জনগণের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে আজন্ম লড়াই সংগ্রাম করেছেন বঙ্গবন্ধু।
তিনি বলেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপসহীন থেকে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু জনগণের জন্য কল্যাণকর গণতন্ত্র চর্চা করে গেছেন। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে শোষণ ও বৈষম্যমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সোনার বাংলা উপহার দেওয়াই ছিল বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির মূল দর্শন। তরুণ প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শনের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে তাদেরকে ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের জন্য উজ্জীবিত করতে হবে।
বিজ্ঞাপন
স্পিকার বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার এক অনন্য দলিল। মানুষের মৌলিক মানবাধিকার সুরক্ষিত রয়েছে আমাদের সংবিধানে। বেঁচে থাকার অধিকার, আইনের আশ্রয় লাভের সমানাধিকার, নারী-পুরুষ সমানাধিকার, শিশুদের অধিকার, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের অধিকার, রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি, কৃষক-শ্রমিকের উন্নয়নসহ সবকিছুই সন্নিবেশিত বাংলাদেশের সংবিধানে। ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ দেশে ফিরেই এই সংবিধান প্রণয়নের কাজ শুরু করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী প্রায় বাহান্ন হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে বিজয়ী বিশ জন শিক্ষার্থীকে স্পিকারের পক্ষে পুরস্কার তুলে দেন বিভাগীয় কমিশনাররা। স্পিকার বিজয়ী শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন ও আয়োজকদের প্রতি ধন্যবাদ জানান। এ ধরনের আয়োজন তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শন ছড়িয়ে দেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন স্পিকার।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগমের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য আরমা দত্ত, বিভাগীয় কমিশনার, মাঠ প্রশাসন ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কর্মকর্তা/কর্মচারী, পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
এইউএ/জেডএস