পৌরসভার তৃতীয় ধাপের নির্বাচনও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর বলেছেন, আশা করছি বরাবরের মতো এবারও ৬০ শতাংশর মতো ভোট পড়বে।

শনিবার (৩০ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। 

সচিব বলেন, গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন উৎস থেকে যে তথ্য পেয়েছি তাতে বলা যায় নির্বাচন সুষ্ঠু ও ভাল হয়েছে। মাত্র দুটি কেন্দ্রে ঝামেলা হয়েছে, তাছাড়া ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে। জামালপুরের সরিষাবাড়ি পৌরসভায় একটি কেন্দ্রে ১০টি পাতা হারিয়ে গিয়েছিল, ফলে ভোট স্থগিত করা হয়েছে। একইসঙ্গে রিটার্নিং ও পোলিং অফিসারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কুমিল্লা বরুড়া পৌরসভায় একটি কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স তছনছ করা হয়েছে। ফলে একটি কেন্দ্রের নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, সব মিলিয়ে বলা যায় ভোট শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু হয়েছে। টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর পৌর নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ১০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে সোমেলো বেগম নামে এক নারীসহ দুই জনের কব্জি ও দুই জনের হাতের আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এ প্রসঙ্গে সিনিয়র সচিব বলেন, ‘এমন কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। হতে পারে এটা গুজব।’

করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে এবার পাঁচ ধাপে পৌরসভা নির্বাচন করছে কমিশন। প্রথম ধাপের তফসিলের ২৪টি পৌরসভায় ইভিএমে ভোট হয় গত ২৮ ডিসেম্বর। গত ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে ৬০টি পৌরসভায় ভোট হয়। আর তৃতীয় ধাপে ৬২টি পৌরসভায় আজ ভোটগ্রহণ শেষে চলছে ফল গণনা। চতুর্থ ধাপে ৫৭ পৌরসভায় ভোট হবে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি এবং পঞ্চম ধাপের ৩১ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি।

দেশে মোট পৌরসভা ৩২৯টি। আইন অনুযায়ী, মেয়াদ শেষের আগের ৯০ দিনের মধ্যে স্থানীয় সরকারের এ প্রতিষ্ঠানে ভোট করতে হয়। স্থানীয় সরকার আইন সংশোধনের পর ২০১৫ সালে প্রথম দলীয় প্রতীকে ভোট হয় পৌরসভায়। ওইসময় ২০টি দল ভোটে অংশগ্রহণ করে।

এসআর/জেডএস