যেসব গাড়িচালক ও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ পাওয়া গেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) নগরীর ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের (এসটিএস) উদ্বোধন শেষে তিনি এ কথা জানান।

মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, গাড়িচালকের যে পদগুলো খালি আছে সেগুলো পূরণের জন্য আমরা এরই মধ্যে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি। নিয়মিত গাড়িচালক ও ভারী গাড়িচালক নিয়োগের ব্যবস্থা নিয়েছি। তবে একটি বিষয়, আমাদের জনবলের স্বল্পতা রয়েছে। এ স্বল্পতা কাটিয়ে ওঠাই আমাদের জন্য বেশি কঠিন। আমি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের বিশেষ করে জনপ্রশাসন ও সরকারের উচ্চ পর্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, এ ব্যাপারে আমরা অত্যন্ত কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছি। যিনি পরিবহন তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্বে ছিলেন তাকে আমরা অপসারণ করেছি। কারণ, তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে, ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

নাঈম হত্যার পর এ বিষয়ে আমরা তদন্ত করেছি এবং এ বিষয়টি গভীরভাবে খতিয়ে দেখেছি উল্লেখ করে মেয়র বলেন, প্রতিবেদনে যেসব অনিয়ম পাওয়া গেছে, সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। আমাদের ৯ জন নিয়মিত গাড়িচালক, যারা ভাড়াটিয়া লোক দিয়ে গাড়ি চালাত। কিন্তু তারা গাড়ি না চালিয়ে দায়িত্ব অবহেলা করেছে। সে বিষয়টা আমাদের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে এবং তাদের আমরা সাময়িক বরখাস্ত করেছি। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করেছি।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিম, করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর সিতওয়াত নাঈম, সচিব আকরামুজ্জামান, ৪ নম্বর অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হায়দর আলী, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, সাধারণ আসনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইরফান সেলিম, ২৮ নম্বরের কামাল উদ্দিন কাবুল, সংরক্ষিত আসনের সামসুন নাহার ভূঁইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এএসএস/এসকেডি