পৌরনির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ভোট পড়েছে ৭০.৪২ শতাংশ
পৌরসভা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ৭০ দশমিক ৪২ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রোববার (৩১ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শনিবার (৩০ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত তৃতীয় ধাপের পৌরসভার নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ১৯ লাখ ৮ হাজার ৬১৫ জন। এর মধ্যে ১৩ লাখ ৪৪ হাজার ১৬ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
বিজ্ঞাপন
এতে আরও বলা হয়, নির্বাচনে সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে মৌলভীবাজার পৌরসভায়। সেখানে ভোট পড়ার হার ৪১ দশমিক ৮৭ শতাংশ। ওই পৌরসভায় ৪৩ হাজার ৪৪৬ ভোটের মধ্যে কাস্ট হয়েছে ১৮ হাজার ১৯০ ভোট। অন্যদিকে, সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে নওগাঁর ধামইরহাটে। সেখানে ভোট পড়েছে ৯২ দশমিক ১৪ শতাংশ। এ পৌরসভায় ১২ হাজার ৬৪০ ভোটারের মধ্যে ১১ হাজার ৬৪৬ জন ভোট দিয়েছেন।
৩০ জানুয়ারি তৃতীয় ধাপে দেশের ৬২টি পৌরসভায় ভোট হয়। এর মধ্যে লাকসাম পৌরসভার সবগুলো পদে একক প্রার্থী থাকায় ভোটগ্রহণের প্রয়োজন পড়েনি। এ ধাপের সবগুলো পৌরসভায় ভোটগ্রহণ হয় ব্যালট পেপারের মাধ্যমে।
বিজ্ঞাপন
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে এবার পাঁচ ধাপে পৌরসভা নির্বাচন করছে কমিশন। প্রথম ধাপের তফসিলের ২৪টি পৌরসভায় ইভিএমে ভোট হয় গত ২৮ ডিসেম্বর। ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে ৬০টি পৌরসভায় ভোট হয়। তৃতীয় ধাপে ৬২টি পৌরসভায় ভোট হয়েছে ৩০ জানুয়ারি। চতুর্থ ধাপে ৫৭ পৌরসভায় ভোট হবে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি এবং পঞ্চম ধাপের ৩১ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি।
দেশে মোট পৌরসভা রয়েছে ৩২৯টি। আইন অনুযায়ী, মেয়াদ শেষের আগের ৯০ দিনের মধ্যে স্থানীয় সরকারের এ প্রতিষ্ঠানে ভোট করতে হয়। স্থানীয় সরকার আইন সংশোধনের পর ২০১৫ সালে প্রথম দলীয় প্রতীকে ভোট হয় পৌরসভায়। ওইসময় ২০টি দল ভোটে অংশগ্রহণ করে।
তৃতীয় ধাপের নির্বাচনও ভালো হয়েছে: ইসি সচিব
পৌরসভার তৃতীয় ধাপের নির্বাচনও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর বলেছেন, আশা করছি বরাবরের মতো এবারও ৬০ শতাংশর মতো ভোট পড়বে।
শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
সচিব বলেন, গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন উৎস থেকে যে তথ্য পেয়েছি তাতে বলা যায় নির্বাচন সুষ্ঠু ও ভাল হয়েছে। মাত্র দুটি কেন্দ্রে ঝামেলা হয়েছে, তাছাড়া ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে। জামালপুরের সরিষাবাড়ি পৌরসভায় একটি কেন্দ্রে ১০টি পাতা হারিয়ে গিয়েছিল, ফলে ভোট স্থগিত করা হয়েছে। একইসঙ্গে রিটার্নিং ও পোলিং অফিসারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কুমিল্লা বরুড়া পৌরসভায় একটি কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স তছনছ করা হয়েছে। ফলে একটি কেন্দ্রের নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।’
এসআর/জেডএস