পেন্ডিং অভিযোগের বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরকে (মাউশি) ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সে হিসেবে দুই মাস সময় পেল অধিদফতরটি।

একই সঙ্গে দুদকের পাঠানো অভিযোগগুলোর বিষয়ে জানতে মাউশিতে একজন ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা রাখার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালক (ডিজি) প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুকের বক্তব্য নেয় দুদক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাউশির পরিচালক প্রফেসর শাহেদুল খবির চৌধুরী।

দুদক সচিব মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের বিশেষ দল তাদের বক্তব্য নেন। 

এরপর সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের দুদক সচিব বলেন, মাউশির নেটওয়ার্ক অনেক বিস্তৃত। সেখানে কর্মকর্তা -কর্মচারীরদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ থাকে। সবগুলো আমাদের তদন্তের পর্যায়ে পড়ে না। অধিকাংশই থাকে যে বিভাগীয় ব্যবস্থার নেওয়ার। কিছু আছে ইনকোয়ারি পার্ট হিসেবে পাঠিয়ে দেই। মাউশির বেশ কিছু অভিযোগ পেন্ডিং ছিল, সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, ১৮৪টি অভিযোগের মধ্যে কিছু বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, কিছু পেন্ডিং। কিছু অভিযোগ তাদের কাছে আছে, অন্যদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেওয়া হয়েছে। কিছু ট্রেস করতে তারা পারেনি। আলোচনা শেষে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে মাউশিতে একজন ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা থাকবে। আমাদের অভিযোগ সেখানে যাবে। তিনি অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থাগুলো আমাদের জানাবেন। 

ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাউশিকে সময় দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে সচিব বলেন, অন্য আরেকটি সিদ্ধান্ত হলো, যতগুলো অভিযোগ নিষ্পত্তি হয়নি সেগুলোর জন্য আগামী ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাউশিকে সময় দেওয়া হয়েছে। যেগুলো নিষ্পত্তি হতে বাকী আছে সেগুলোর কাজ শেষ করে তারা আমাদের জানাবে। আমরা আশা করি অভিযোগগুলোর বিষয়ে অত্যন্ত ন্যায় সঙ্গতভাবে ব্যবস্থা নেবে মাউশি। দুদককে এ বিষয়ে দ্বিতীয়বার খতিয়ে দেখতে হবে না।

এসব বিষয়ে মাউশির ডিজি বলেন, পেন্ডিং অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে দুদক আমাদের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় দিয়েছে। 

মাউশিতে আসা দুর্নীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রত্যেকটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কোনটি দুদক তদন্ত করেছে, কোনটি মন্ত্রণালয়। ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই।

এর আগে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নিতে বিভিন্ন সময়ে মাউশিকে চিঠি দেয় দুদক। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে কি-না সে বিষয়ে জানতে মাউশিকে তলব করে দুদক।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন সময়ে দুদকের কাছে মাউশি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ আসে। এর মধ্যে অনেক অভিযোগ দুদকের তফসিলভুক্ত নয়। ওই অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে মাউশি মহাপরিচালকের কাছে চিঠি পাঠানো হয়। 

আরএম/এসএম