জমি-জমার বিরোধে কক্সবাজারে মা-মেয়ে হত্যা
সিআইডির হাতে গ্রেপ্তার মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা করা আবুল কালাম/ ছবি: ঢাকা পোস্ট
কক্সবাজারের ঈদগাহ থানার ইসলামাবাদ এলাকায় মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গ্রেপ্তার ওই ব্যক্তির নাম আবুল কালাম (৩৬)। সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধরের নেতৃত্বে ৪৮ ঘণ্টার অভিযান চালিয়ে সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ডেমরা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিজ্ঞাপন
সোমবার ঢাকার সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডি চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ডিআইজি হাবিবুর রহমান জানান, গত ১৯ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কক্সবাজার জেলার ঈদগাহ থানাধীন ৩নং ইসলামাবাদ ইউনিয়নের চরপাড়ার রাবারড্যাম এলাকায় মা ও মেয়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
ওই ঘটনায় গ্রেপ্তার আবুল কালাম সিআইডিকে জানায়, সে অবৈধ পথে মালয়েশিয়ায় যান। সেখানে থেকে পাসপোর্ট করে সাত বছর অবস্থান করেন। গত ৯ মাস পূর্বে তিনি দেশে ফিরে আসেন।
সংবাদ সম্মেলনে সিআইডি জানায়, বাসায় ফেরার পরই চাচির সঙ্গে জমি-জমা নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। চাচি কালামের বাসা থেকে বের হওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দেয়। এতে গ্রাম্য সালিশও ডাকেন কালাম। কিন্ত সমাধান না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন তিনি। এর জের ধরে নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটান তিনি।
আবুল কালাম ১৯ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জমি-জমা বিরোধের জের ধরে তার চাচি রাশেদা বেগমকে (৪০) দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। এ সময় রাশেদা বেগমের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস (১৬) বাধা দিলে কালাম তাকেও কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যান। মা-মেয়েকে নিকটস্থ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
অপরাধ সংঘটনের পর সিআইডি ছায়া তদন্ত শুরু করে। অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ ও নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে আসামির সম্ভাব্য লুকিয়ে থাকার সকল স্থানে অভিযান পরিচালনা করে।
গ্রেপ্তারের জন্য কক্সবাজার ও উখিয়াতে ৪৮ ঘণ্টার সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হয়। তবে আসামি কালাম পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কক্সবাজার-উখিয়া থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। অনুসরণ করে ঢাকার পার্শ্ববর্তী ডেমরা এলাকা থেকে শেষ রাতে সিআইডি আসামিকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার আসামি কালাম, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন। কক্সবাজার জেলার নবগঠিত ঈদগাহ থানায় দায়ের করা হত্যা মামলার অপর তিন আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- কক্সবাজার জেলা সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুহাম্মদ ফয়সাল আহমেদ, এলআইসি শাখার অতিরিক্তি বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর ও এএসপি (মিডিয়া) জিসানুল হক।
জেইউ/এফআর