‘বেকারত্ব নিরসনের অন্যতম মাধ্যম হতে পারে ফ্রিল্যান্সিং’
সংগৃহীত ছবি
করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট বেকারত্ব দূরীকরণ ও অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে ফ্রিল্যান্সিং অন্যতম মাধ্যম হতে পারে বলে জানিয়েছে টেলি কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টিক্যাব)। সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটির আহ্বায়ক মুর্শিদুল হক এ কথা বলেন।
টিক্যাব আহ্বায়ক মুর্শিদুল হক বলেন, বর্তমানে প্রায় ২৪ শতাংশ গ্লোবাল ফ্রিল্যান্সার ওয়ার্কার নিয়ে ভারত ফ্রিল্যান্সিং দুনিয়ার শীর্ষে অবস্থান করছে। এরপরই ১৬ শতাংশ ফ্রিল্যান্সার নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। ১২০ কোটি মানুষের দেশ ভারতের সঙ্গে তুলনা করলে তা বিস্ময়কর।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে বাংলাদেশে মোট নিবন্ধিত ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা প্রায় ৭ লাখের কাছাকাছি। এদের মধ্যে সক্রিয় ফ্রিল্যান্সার ৫ লাখ। প্রতিবছর দেশের অর্থনীতিতে প্রায় ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমাণ অর্থ যোগ করছেন এ ফ্রিল্যান্সাররা। প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে এখনো অনেকটা পিছিয়ে থেকেও ফ্রিল্যান্সারদের মেধা, শ্রম ও একাগ্রতা দেশকে গৌরবজনক পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পেলে অচিরেই বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিংয়ে বিশ্বের শীর্ষে অবস্থান করবে বলে মুর্শিদুল হক আশা প্রকাশ করেন।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে সরকারের অর্থায়নে লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং প্রকল্পকে (এলইডিপি) স্বাগত জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে মুর্শিদুল হক বলেন, এলইডিপি প্রকল্পের মাধ্যমে বিনামূল্যে ৫০ দিনব্যাপী গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট কোর্সে প্রশিক্ষণ চলছে। এইচএসসি বা সমমানের শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন প্রায় ৪০ হাজার জনকে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। যা একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। এ বছরেই প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হবে।
বিজ্ঞাপন
সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, প্রকল্পের মেয়াদ আরো ৫ বছর বৃদ্ধি করা হোক। পাশাপাশি আমাদের লাখ লাখ শিক্ষিত বেকার ও জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক নারীর কথা চিন্তা করে এলইডিপি প্রকল্পের ব্যাপ্তি আরও বাড়ানো হবে বলেই আমাদের প্রত্যাশা।
তিনি আরও বলেন, আমরা দেখেছি করোনা সংকটে সারা দুনিয়ার বড় বড় অর্থনীতিগুলোর প্রবৃদ্ধি যখন ঋণাত্মক, তখন বাংলাদেশকে নিয়ে অনেক আশঙ্কা থাকলেও আমাদের পোশাক শিল্প ও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স এবং সরকারের কার্যকর সিদ্ধান্ত অর্থনীতিকে ততটা ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারেনি। করোনা মহামারি দেখিয়ে দিয়েছে অর্থনীতিকে স্থায়ীভাবে শক্তিশালী ও এর সুফল জনগণ পর্যন্ত পৌঁছে দিতে অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য আনা একান্ত জরুরি। এক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং হতে পারে সবচেয়ে ভাল বিকল্প।
এএসএস/এমএইচএস