মোহাম্মদপুর থানার ফাইল ছবি

রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) এক শিক্ষার্থী মারা যাওয়ার ঘটনায় তার বান্ধবী নেহাকে খুঁজছে পুলিশ। নেহা বর্তমানে কোথায়, কী অবস্থায় আছেন- এ বিষয়ে জানতে ও তাকে গ্রেপ্তারে ইতোমধ্যে পুলিশের অভিযান শুরু হয়েছে।

এদিকে, ‘একসঙ্গে থাকা’ নিহত ওই তরুণীর ‘বন্ধু’ আরাফাতও মারা গেছেন। ইতোমধ্যে তার দাফনও সম্পন্ন করেছে পরিবার। তবে আরাফাতের মরদেহ কবর থেকে তোলার আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এ শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় করা অভিযোগে বলা হয়েছে, ওই ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। সেখানে আরাফাতকে আসামি করা হয়েছে, যিনি ইতোমধ্যেই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন। অন্যদিকে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, বিষক্রিয়া ওই ছাত্রীর মৃত্যুর কারণ হতে পারে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর দুই বন্ধুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন- মর্তুজা রায়হান চৌধুরী ও নুহাত আলম তাফসির। ইতোমধ্যে তাদের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

সূত্রের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে, সেদিন উত্তরার ‘ব্যাম্বু শুট’ রেস্টুরেন্টে মোট পাঁচ জন ছিলেন। এর মধ্যে ওই তরুণীসহ আরাফাত নামের একজন মারা গেছেন। আরাফাত রাজধানীর সিটি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। চিকিৎসক মৃত্যুর কারণ হিসেবে ‘অতিরিক্ত মদপান’-এর বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। মৃত্যুর পরপরই বিষয়টি পুলিশকে না জানিয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে তার মরদেহ দাফন করে দেওয়া হয়। ইতোমধ্যে এই ঘটনার রহস্য জানতে আরাফাতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে পুলিশ। মামলার আসামি হিসেবে প্রয়োজনে কবর থেকে তার মরদেহ উত্তোলনের আবেদন করা হতে পারে।

সেদিন যা ঘটেছিল-

গ্রেপ্তার মর্তুজা রায়হান চৌধুরী ও নুহাত আলম তাফসিরকে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশি তদন্তের একটি প্রতিচ্ছবি উঠে এসেছে। তাদের দেওয়া তথ্যমতে, নিহত তরুণী ও রায়হান আগে থেকেই প্রেমিক-প্রেমিকা ছিলেন। তারা আগে থেকেই ২৮ তারিখ বিকেলে দেখা করার পরিকল্পনা করেছিলেন। সেদিন বিকেলে তারা হাতিরপুলের মোতালেব প্লাজার সামনে একত্রীত হন। সেখানে তাদের সঙ্গে দেখা হয় তাদের বন্ধু আরাফাতের। আরাফাত তাদেরকে গুলশানে একটি রেস্টুরেন্টে দাওয়াত আছে বলে নিমন্ত্রণ দেন। সেই দাওয়াতে যাওয়ার জন্য তারা প্রথমে আরাফাতের বাসায় যান। সেখান থেকে একযোগে উবার নেন। শেষ মুহূর্তে আরাফাত তাদের জানিয়েছিলেন, রেস্টুরেন্টের লোকেশন (ঠিকানা) একটু বদল হয়েছে, উত্তরায় যাচ্ছি আমরা। তখন তারা উবার নিয়ে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ‘ব্যাম্বু শুট’ রেস্টুরেন্টে যান।

রেস্টুরেন্টে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন- নিহত তরুণীর বান্ধবী নেহা ও তার আরেক ছেলে বন্ধু। রেস্টুরেন্টে তারা পাঁচ জন (মোতালেব প্লাজার দিক থেকে আসা তরুণী-আরাফাত-রায়হান, এছাড়া রেস্টুরেন্টে থাকা নেহা ও তার ছেলে বন্ধু) একত্রীত হয়ে মদপান শুরু করেন। মদ সরবরাহ করেন নেহার ছেলে বন্ধু।

সন্ধ্যার পরপরই তারা একসঙ্গে মদপান করেন। এক পর্যায়ে নেহা অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং রেস্টুরেন্টের টয়লেটে গিয়ে বমি করেন। তখন নেহা ও তার ছেলে বন্ধু চলে যায়। রেস্টুরেন্টে আরাফাত, রায়হান এবং ওই তরুণী মদপান করতেই থাকেন। এক পর্যায়ে নিহত তরুণী টয়লেটে গিয়ে বমি করেন। তরুণীর অবস্থা ‘বেগতিক’ দেখে রায়হান ও আরাফাত তরুণীকে নিয়ে একসঙ্গে রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে একটি উবার নেন। ওই তরুণী ও রায়হানকে গুলশান-২ এ নামিয়ে দেন আরাফাত।

গুলশান-২ এ নেমে ওই তরুণী বলেন, তিনি বাসায় যাবেন না, তাকে তার বান্ধবী তাফসিরের বাসায় নিয়ে যেতে বলেন। তখন তারা দুজন মিলে (ওই তরুণী ও রায়হান) মোহাম্মদপুর হোমস লিমিটেডের ৯ নম্বর বিল্ডিংয়ের বাসায় যান। সেই বাসায় তাফসির তার মায়ের সঙ্গে থাকেন। তবে সেদিন একা ছিলেন। বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) রাতে তারা তাফসিরের বাসায় ঢোকেন। এর পরপরই ওই তরুণী বমি করেন। সেই বমি পরিষ্কার করেন তাফসির ও রায়হান। এরপর রায়হান ও তরুণীকে এক রুমে রেখে অন্য রুমে চলে যান তাফসির।

রাতে রায়হানের সঙ্গে একাধিকবার ওই তরুণীর ‘শারীরিক সম্পর্ক’ হয়। এরপর ২৯ তারিখ ভোরেই ওই তরুণীকে তাফসিরের বাসায় রেখে নিজের বাসায় চলে যান রায়হান। সকাল থেকে দুর্বল বোধ করছিলেন ওই তরুণী। দুপুরে তাফসিরের বাসায় এসে আবার খোঁজখবর নিয়ে যান রায়হান। শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) মধ্যরাতে রায়হান তার বন্ধু কোকোকে (এ ঘটনায় তাকে আটক করা হয়েছিল, পরবর্তী সময়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে) ফোন দিয়ে ওই তরুণীর শারীরিক অসুস্থতার কথা জানান। তখন কোকো এসে তাকে প্রথমে ইবনে সিনা হাসপাতালে নিয়ে যান।

তবে হাসপাতালে পর্যাপ্ত নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র (আইসিইউ) সুবিধা না থাকায় ৪০ মিনিট পর তাকে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আইসিইউতে রাখা হয়। তখন রায়হান ওই তরুণীর বাবাকে ফোন করে বিষয়টি জানান। চট্টগ্রাম থেকে পরদিন ঢাকায় আসেন ওই তরুণীর বাবা। তিনি শনিবার (৩০ জানুয়ারি) মধ্যরাতে থানায় এসে একটি মামলা করেন। পরদিন রোববার (৩১ জানুয়ারি) তার মেয়ের মৃত্যু হয়।

তদন্ত কতদূর-

এ ঘটনায় রায়হান এবং তাফসিরকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে এনেছে পুলিশ। এছাড়াও তাফসিরের বাসার, ব্যাম্বু শুটসহ বেশ কয়েকটি স্থানের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করছে পুলিশ। তরুণীকে উদ্ধার করা বন্ধু কোকোসহ নিহত ও আসামিদের পরিবারের সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। মামলার আরেক আসামি নেহাকে গ্রেপ্তারে ইতোমধ্যে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।

এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ ঢাকা পোস্ট-কে বলেন, ‘রায়হানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি ইতোমধ্যে চেক করা হয়েছে। সেটি দেখে আমাদের মনে হয়েছে, রেস্টুরেন্টে যাওয়ার বিষয়টি পূর্বপরিকল্পিত ছিল এবং এ বিষয়ে দুজনই অবগত ছিলেন। বাকিদের মোবাইল ফোনগুলো সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। সেগুলো পেলে প্রযুক্তিগত পরীক্ষা করা হবে। এটি মূলত একটি ড্রিংকস পার্টি ছিল (মদপানের)। পার্টি আয়োজনের অন্য কোনো উদ্দেশ্য তদন্তে পাইনি।’

ওসি আরও বলেন, ‘মামলাটি অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ও ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদন পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।’

আমরা গ্রেপ্তার দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তাদের দেয়া তথ্য ও আমাদের অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছি। এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এছাড়াও আরাফাতের দাফনের বিষয়ে আমাদের কিছুই জানানো হয়নি। এ বিষয়েও খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।

রওশানুল হক সৈকত, সহকারী কমিশনার, মোহাম্মদপুর জোন

এ বিষয়ে তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) হারুন অর রশিদ বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে শুনেছি, নেহার এক বন্ধু বিমানবন্দর থেকে মদ এনে উত্তরার ব্যাম্বু শুট রেস্টুরেন্টে পান করেছেন। আমরা সেই ছেলের নাম পরিচয় এখনও পাইনি। তাকে খোঁজা হচ্ছে। সেই মদপানের কারণেই কিছু হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এছাড়া মদপান করার কারণে বিষক্রিয়া হয়েছে কি না- তা আমরা তদন্ত করছি। এছাড়াও উত্তরার যে রেস্টুরেন্ট থেকে এই মদপান করা হয়েছিল, তাদের লাইসেন্স আছে কি না- তাও তদন্ত করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘নিহত তরুণীর ভিসেরা নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পাশাপাশি গ্রেপ্তার দুই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তদন্তে প্রাথমিকভাবে আমাদের মনে হয়েছে, অতিরিক্ত মদপান, মদে বিষক্রিয়া অথবা বেশি মদপান করিয়ে ধর্ষণের ঘটনা ঘটতে পারে।’

মামলায় তরুণীর বাবার অভিযোগ-

মোহাম্মদপুর থানায় ওই তরুণীর বাবার করা নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় পাঁচ জনকে আসামির করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ওই তরুণীর বন্ধু মর্তুজা রায়হান চৌধুরীকে (২১) ধর্ষণকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়। অন্য চার আসামির মধ্যে তিন জন- নুহাত আলম তাফসির (২১), আরাফাত (২৮) ও নেহা (২৫)। আরেকজনের নাম জানা যায়নি। মামলায় অজ্ঞাত হিসেবে তাকে উল্লেখ করা হয়েছে।

এজাহারে বলা হয়েছে, গত ২৮ জানুয়ারি বিকেল ৪টায় মর্তুজা রায়হান ওই তরুণীকে নিয়ে মিরপুর থেকে আসামি আরাফাতের বাসায় যায়। আরাফাতের বাসায় স্কুটার রেখে আরাফাত, ওই তরুণী ও রায়হান একসঙ্গে উবারে করে তারা উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ব্যাম্বু শুট রেস্টুরেন্টে যায়। সেখানে আগে থেকেই আরেক আসামি নেহাসহ ও আরও একজন সহপাঠী (তরুণ) উপস্থিত ছিলেন। সেখানে আসামিরা ওই তরুণীকে জোর করে ‘অধিক মাত্রায়’ মদপান করান।

বলা হয়েছে, মদপানের একপর্যায়ে ওই ভিকটিম অসুস্থবোধ করলে রায়হান তাকে মোহাম্মদপুরে তার এক বান্ধবীর বাসায় পৌঁছে দেয়ার কথা বলে তাফসিরের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে ওই তরুণীকে একটি রুমে নিয়ে তারা সবাই একসঙ্গে ছিল এবং তাদের চোখের সামনে রায়হান তাকে ধর্ষণ করেন।

ধর্ষণের পর রাতে ওই তরুণী অসুস্থবোধ ও বমি করলে সে তার অসিম খান কোকো নামে তার আরেক বন্ধুকে ফোন দেয়। সেই বন্ধু পরদিন এসে ওই তরুণীকে প্রথমে ইবনে সিনা ও পরে আনোয়ার খান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। দুদিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর রোববার সে মারা যায়।

এজাহারে ধর্ষক হিসেবে মর্তুজা রায়হান চৌধুরীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বাকিদের ভূমিকা ‘জোর করে মদপান করিয়ে ধর্ষণের সহযোগিতা’ উল্লেখ করা হয়েছে।

ময়নাতদন্তের পর চিকিৎসক যা বলেছেন-

সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আ ম সেলিম রেজা ঢাকা পোস্ট-কে বলেন, ‘মেয়েটির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। বিষক্রিয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে কি না- তা জানতে নিহতের ভিসেরা আলামত নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও তার যৌনাঙ্গ ও পায়ুপথ থেকে আলামত সংগ্রহ করে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।’

নিহতের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এছাড়াও দেহের সংবেদনশীল অংশগুলোতেও জোরপূর্বক সঙ্গমের আলামত পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্টে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

অধ্যাপক আ ম সেলিম রেজা, অধ্যাপক, ফরেনসিক বিভাগ, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

লাইসেন্স নেই ব্যাম্বু শুটের

যে রেস্টুরেন্টে তারা মদপান করেছিলেন, সে রেস্টুরেন্টটিতে মদ বিক্রি বা পান করার কোনো অনুমতি ছিল না বলে জানিয়েছে পুলিশ। সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) উত্তরা পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তপন চন্দ্র সাহা ঢাকা পোস্ট-কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরে ব্যাম্বু শুট রেস্টুরেন্টটি অবস্থিত। তারা সাধারণ খাবার বিক্রি করত। সেখানে মদপান বা বিক্রি করার কোনো অনুমতি নেই। ভিকটিমসহ পাঁচজন যখন ওই রেস্টুরেন্টে অবৈধভাবে মদ খাচ্ছিল তখন কর্তৃপক্ষ পুলিশকে কিছু জানায়নি। তাই নিয়ম ভাঙার কারণে রেস্টুরেন্টের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ ইতোমধ্যেই ব্যাম্বু শুটে গিয়ে তদন্ত করে এসেছে।’

উল্লেখ্য, গত ৭ জানুয়ারি রাজধানীর কলাবাগানে প্রায় একই ধরনের একটি ঘটনায় আনুশকা নূর আমিন নামের মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। যদিও সেখানে মদপানের ঘটনা ঘটেনি। সেদিন বান্ধবীর বাসায় জন্মদিন পালন করতে যান আনুশকা। সেখানেই শারীরিক নির্যাতনের পর তাকে হত্যা করা হয় বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়। ওই ঘটনায় কলাবাগান থানায় মামলা করেন আনুশকার বাবা এবং আসামি ইফতেখার ফারদিন দিহান বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।

এআর/এমএসি/এফআর