কানাডার জাল ভিসা সরবরাহকারী চক্রের মূলহোতা মো. বিল্লাল হোসেনকে (২৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এ চক্রের অন্য দুই সদস্য জোবায়ের ও মাহফুজ পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

সোমবার সিআইডির ঢাকা মেট্রোর (দক্ষিণ) বিশেষ পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র কানাডার জাল চাকরি ও স্টুডেন্ট ভিসা দিয়ে মানুষকে প্রতারিত করছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছিল। 

সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর সিআইডি ঢাকা মেট্রো (দক্ষিণ) এ বিষয়ে ছায়াতদন্ত শুরু করে। এর মধ্যে চক্রের হাতে প্রতারিত আটজন ভুক্তভোগী এ বিষয়ে অভিযোগ করেন। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে রোববার রাতে রাজধানীর বনানীতে থেকে এ চক্রের মূলহোতা বিল্লাল হোসেনকে গ্রেফতার করে সিআইডি ঢাকা মেট্রোর (দক্ষিণ) একটি দল।

পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বিল্লাল জাল ভিসার মাধ্যমে প্রতারণার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। কানাডার ভিসা দেওয়ার কথা বলে তিনি ইতিমধ্যে ৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর পাসপোর্ট ফেরত পেতে ভুক্তভোগীরা চেষ্টা করলেও তিনি দেখা করেননি। 

সিআইডির এ কর্মকর্তা বলেন, পাসপোর্ট আটক রেখে বিল্লাল জনপ্রতি এক লাখ টাকা দাবি করেন। ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে বিকাশে টাকা না পেয়ে তিনি এক পর্যায়ে জাল ভিসাসহ আটটি পাসপোর্ট রাজধানীতে এসএ পরিবহনের একটি শাখায় ৫০ হাজার টাকা মাশুলে রেখে যান।

তিনি বলেন, জনপ্রতি ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে কানাডার ভিসা দেওয়ার জন্য ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে বিল্লাল পাসপোর্ট গ্রহণ করেন। তিনি নিজেকে জিসান এ আই ইন্টারন্যাশনালের কর্ণধার হিসেবে পরিচয় দিতেন। এ চক্রের অন্য দুই সদস্য জোবায়ের ও মাহফুজ পলাতক রয়েছে। পলাতকদের গ্রেফতারে সিআইডি ঢাকা মেট্রোর (দক্ষিণ) অভিযান অব্যাহত আছে। বিল্লালের বিরুদ্ধে ডিএমপির তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় সিআইডি ঢাকা মেট্রো (দক্ষিণ) বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে।

এমএসি/আরএইচ