স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কণিকার শীতবস্ত্র বিতরণ
স্বেচ্ছায় রক্তদাতা সংগঠন কণিকার শীতবস্ত্র বিতরণ ও ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন ২০২২ সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) পৃথকভাবে চট্টগ্রামের বাঁশখালীর জলদি ও লোহাগড়ার চুনতি অভয়ারণ্য এলাকায় এ কর্মসূচির আয়োজন করে সংগঠনটি।
এসময় চুনতি অভয়ারণ্যে ও জলদি অভয়ারণ্য মিলে ৩০০ জন শীতার্ত মানুষকে শীতবস্ত্র ও ২০০ জনকে বিনামূল্যে ওষুধসহ চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়।
বিজ্ঞাপন
বাঁশখালীর জলদি অভয়ারণ্যে আয়োজন করা হয় মূল ক্যাম্পেইনের। এসময় ২০০ জন শীতার্ত দরিদ্র মানুষকে কম্বল, টুপি ও শীতের সুরক্ষা সামগ্রী দেওয়া হয়। পাশাপাশি আরও দুই শতাধিক মানুষকে বিনামূল্যে ওষুধসহ চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়।
শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সদর বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা দীপান্বিতা ভট্টাচার্য বলেন, ‘কণিকার মতো এমন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আছে বলেই পৃথিবীটা এত সুন্দর। কণিকা একটি রক্তদাতা সংগঠন হলেও তাদের সমাজসেবামূলক কাজগুলো প্রশংসার দাবি রাখে। কণিকা এগিয়ে চলুক তার আপন গতিতে।’
বিজ্ঞাপন
নুসরাত জাহান তানির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কণিকার সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাসউদ। এসময় অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কণিকার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাইফুল্লাহ মুনির, সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী মোহাম্মদ সায়েম, জলদি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য রেঞ্জ কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান শেখ ও সমাজসেবক আবছার উদ্দিন চৌধুরী জান্টু প্রমুখ।
এ দিন লোহাগড়া উপজেলার চুনতি অভয়ারণ্যে পৃথক ক্যাম্পেইনে আরও ১০০ জন শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল, টুপি ও শীতের সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চুনতি বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা নূর জাহান বলেন, ‘কণিকা রক্তদাতা সংগঠন হলেও বিভিন্ন সামাজিক কাজেও অংশগ্রহণ করছে- এটা সত্যিই দারুণ। তাদের এ কাজকে আমি সাধুবাদ জানাই। চট্টগ্রামের অন্যান্য এলাকা রেখে তারা প্রত্যন্ত অঞ্চলের এ মানুষগুলোকে শীতবস্ত্র বিতরণের জন্য বেছে নেওয়ায় তাদের ধন্যবাদ জানাই। আগামীতেও তারা সমাজসেবামূলক এসব কাজ চালিয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা করছি।’
আরাফাত বিন হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কণিকা শীতবস্ত্র বিতরণ ক্যাম্পেইনের আহ্বায়ক আশরাফুল এহসান। অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মাহমুদ হোসেন প্রমুখ।
কেএম/এসএসএইচ