ভূমি সংক্রান্ত মামলা মনিটর হবে অনলাইনে
সিভিল স্যুট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিএসএমএস) স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়। এর ফলে ভূমি সংক্রান্ত দেওয়ানি মামলাগুলো অনলাইনে মনিটর করা সম্ভব হবে।
আজ (মঙ্গলবার) সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সিএসএমএস স্থাপনের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর হয়। অনুষ্ঠানে ভূমি মন্ত্রণালয়ের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের আইন শাখার যুগ্মসচিব মো. মাহমুদ হাসান। অন্যদিকে সিভিল স্যুট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম স্থাপনের জন্য নির্ধারিত প্রতিষ্ঠান মাইসফটহ্যাভেন (বিডি) লিমিটেডেরে পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোফাখখারুল ইসলাম চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
বিজ্ঞাপন
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব তপন কুমার কর্মকার, মুহাম্মদ সালেহউদ্দীন, প্রদীপ কুমার দাসসহ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশে যত মামলা হয় তার সিংহভাগ ভূমি সংক্রান্ত মামলা। এসব দেওয়ানি মামলা সহজ, স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য ভূমি মন্ত্রণালয় সিভিল স্যুট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম স্থাপনের জন্য গত বছরের জুলাইয়ে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন (পিপিএ) ২০০৬ ও পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা (পিপিআর) ২০০৮ অনুসরণ করে এ কার্যক্রম গ্রহণ করে।
বিজ্ঞাপন
সিএসএমএস স্থাপন করা হলে আদালতের তথ্য হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। এছাড়া মামলায় তথ্য বিবরণী আদালতে দেওয়া হয়েছে কি-না, তথ্য বিবরণী কিভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, মামলার সর্বশেষ অবস্থা কী, সে বিষয়েও সিস্টেম থেকে তথ্য নেওয়া যাবে।
ভূমি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নতুন এই সিস্টেমে আদালতের কৌঁসুলিকেও অন্তর্ভুক্ত করা হবে, যাতে আদালতের তারিখ ও আদেশ পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হয়।
ভূমি তথ্য সিস্টেম ফ্রেমওয়ার্কের সঙ্গে আন্তসংযোগ করে সিএসএমএস স্থাপন করা হবে। মন্ত্রণালয়, বিভাগ, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নের সঙ্গে এই সিস্টেমের যোগসূত্র থাকবে। ই-মিউটেশন সিস্টেমের সঙ্গেও এই সিস্টেমটি একীভূত করা হবে। এতে ইউনিয়ন থেকে তথ্য বিবরণী দেওয়া থেকে শুরু করে আদালত পর্যন্ত তথ্য বিবরণীর কপি দাখিল পর্যন্ত অনলাইন সিস্টেম তৈরি করা সম্ভব হবে।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের আইন শাখা থেকে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের মামলাসহ সকল দেওয়ানি আদালতের মামলায় সরকার পক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা হয়। সরকারের কোটি-কোটি টাকা মূল্যমানের সম্পত্তি নিয়ে এই সকল মামলা পরিচালিত হয়।
এসএইচআর/এনএফ