ন্যায্য বেতন স্কেল গ্রেড প্রদানসহ ৪ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা মাঠ কর্মচারী সমিতি।

শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি জানান বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা মাঠ কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাকিরুন্নেছা সুমী।

সমিতির অন্যান্য দাবিগুলো হচ্ছে- অতিদ্রুত নিয়োগবিধি বাস্তবায়ন করতে হবে; স্থায়ী ও যথাযথভাবে পদ সংরক্ষণ করতে হবে; চাকরিরতদের দায়ের করা নিয়মতান্ত্রিক মামলার বাদীপক্ষকে অমানবিক হয়রানি বন্ধ করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে সুমী বলেন, ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে এফপিআই ও এফডব্লিউএ ২৮ হাজার কর্মচারী উন্নয়ন খাত হতে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরিত হয়। তখন থেকেই এখন পর্যন্ত ২৫ বছর ধরে ভাসমান অবস্থায় আছে। চাকরি স্থায়ীকরণ ও পদসংরক্ষণ হয়নি, নেই কোনো নিয়োগবিধি। আমরা সরকারি কর্মচারী শুধু নামমাত্র।

তিনি বলেন, আমরা আশঙ্কায় আছি, যেকোনো সময় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আমাদের আইনানুগভাবে বেতন বন্ধ করে দিতে পারে। দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে আমাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে বারবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে গেলেও তাদের উদাসীনতার কারণে আমরা সরকারের যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত।

তিনি আরও বলেন, দাবি আদায়ে আমরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হই। এরপর থেকে এফপিআই এফডব্লিউএদের পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ মৌখিকভাবে কর্মস্থলে অতিরিক্ত চাপ, হয়রানি করে যাচ্ছে। মৌখিকভাবে রিট থেকে সরে আসার জন্য হুমকি দিচ্ছে।

হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শর্তাবলীকে তোয়াক্কা না করে একের পর এক এই ভাসমান কথিত রাজস্ব খাতে এফপিআই এফডব্লিউএ নিয়োগ দিয়ে চলছে এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ, গাজীপুর, খাগড়াছড়ি নিয়োগ কার্যক্রম অতিদ্রুত চালিয়ে যাচ্ছে।

এমএইচএন/এইচকে