শাহ আলী /ছবি- সংগৃহীত

আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) প্রধান আতাউল্লাহ আবু জুনুনীর ভাই শাহ আলীকে আটক করেছে আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।

আগ্নেয়াস্ত্র ও মাদকসহ কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে তাকে আটক করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক এসপি নাঈমুল হক।

১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক এসপি নাঈমুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, মিয়ানমারের সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ আরসার প্রধান আতাউল্লাহ আবু জুনুনী। সম্প্রতি আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন গোয়েন্দা তথ্য পায় যে, আতাউল্লাহর ভাই শাহ আলী ক্যাম্পে অবস্থান নিয়েছেন। ওই তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তিনি কবে থেকে কেন এই ক্যাম্পে অবস্থান নিয়েছেন, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। 

তবে ভাইয়ের মতো আটক শাহ আলীও আরসার সঙ্গে জড়িত কি-না সেটি নিশ্চিত করেনি এপিবিএন।

মিয়ানমার জান্তা সরকারের রোষানলে পড়ে নিজের ভূখণ্ড ছেড়ে পালিয়ে কক্সবাজারের টেকনাফসহ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নেয় ১১ লাখ রোহিঙ্গা। রোহিঙ্গাদের আশ্রয়ের জন্য করা হয় ক্যাম্প। আর এসব ক্যাম্পকেন্দ্রিক রোহিঙ্গা নাগরিকদের বসবাসকে কেন্দ্র করেই শুরু থেকেই নানা ধরনের অপকর্ম করে আসছিল বলে বিস্তর অভিযোগ আরসার বিরুদ্ধে।

গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর রোহিঙ্গা কুতুপালং ক্যাম্পে ব্রাশফায়ারে নিহত হন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের নেতা মুহিবুল্লাহ। আরসার সহযোগিতায় নিজেদের মধ্যকার অন্তর্কলহ বা দ্বন্দ্বের বলি হতে পারেন মুহিবুল্লাহ। এমন সন্দেহ রোহিঙ্গা নেতাদের।

তাদের দাবি, আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) যা এখন আল ইয়াকিন নামে পরিচিতি। কক্সবাজারবাসীর কাছে যাদের পরিচিতি ‘জঙ্গি বাহিনী’। তাদের হাতে কিংবা মিয়ানমারের সরকারের মদদপুষ্ট কেউ এই হত্যায় জড়িত।

মুহিবুল্লাহর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে তারা মিয়ানমারে ফেরার স্বপ্নে ছেদ দেখছেন রোহিঙ্গা নেতারা। নিহত রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহর আত্মীয়-স্বজন ও ঘনিষ্টদের এখনো নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। যদিও মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডে আরসা দায় অস্বীকার করেছে।

কক্সবাজার জেলার উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রোহিঙ্গা নেতা মহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের পর থেকে ১৪ এপিবিএন কর্তৃক পরিচালিত বিশেষ অভিযানে বিভিন্ন অপরাধে দুই শতাধিক রোহিঙ্গা নাগরিক গ্রেফতার হয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (পুলিশ সুপার) নাইমুল হক বলেন, এ পর্যন্ত তথাকথিত আরসা নামধারী ১১৪ সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয়। তাছাড়া মাদক ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, চোরাচালানে জড়িত, ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামিসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত আরও ৫৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

জেইউ/ওএফ