করোনায় আরও ১৩ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৪৩৮
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল আট হাজার ১৬২ জনে।
এ সময়ে নতুন করে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৪৩৮ জন। ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৩৬ হাজার ৫৪৫ জনে।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, নতুন করে ভাইরাসটি থেকে মুক্ত হয়েছেন ৫৭৮ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৮১ হাজার ৩০৬ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ হাজার ১৪৭টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষা হয়েছে ১৪ হাজার ৯৮৫টি। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৬ লাখ ৯৩ হাজার ৬৩৪টি। সরকারি ব্যবস্থাপনায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৮ লাখ ৮০ হাজার ৯৩৭টি এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় করা হয়েছে আট লাখ ১২ হাজার ৬৯৭টি।
বিজ্ঞাপন
মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ১১ জন এবং দুই জন নারী। এর মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ১১ জন, দুই জন মারা গেছেন বাড়িতে। মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ছয় হাজার ১৮৮ জন, বাকি এক হাজার ৯৭৪ জন নারী।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরের বেশি সাত জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের তিন এবং ৪১ থেকে ৫০ বছরের দুই জন এবং ১১ থেকে ২০ বছরের এক জন রয়েছেন।
টিকা নিবন্ধনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সহযোগিতা
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে একযোগে শুরু হচ্ছে টিকা প্রয়োগ কার্যক্রম। ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে যারা অনলাইনে টিকা নিবন্ধন করতে অপারগ, তাদের নিবন্ধন সম্পন্ন করতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সহায়তা করা হবে। সহায়তা করবেন ইউনিয়ন কমিউনিটি ক্লিনিক ও উপজেলা হাসপাতালে কর্মরত স্বাস্থ্যসেবা সহকারী কর্মীরা।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বিভাগীয় পরিচালক, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিচালক, সিভিল সার্জন বা তত্ত্বাবধায়ক এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাদের একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কোডিড-১৯ টিকা পাওয়ার জন্য প্রত্যেককে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বরের মাধ্যমে সুরক্ষা ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করতে হবে। এক্ষেত্রে পূর্বে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর প্রেরণ করা হলেও সেগুলো শুধুমাত্র অগ্রাধিকার তালিকা প্রস্তুতের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, প্রত্যেক টিকা কেন্দ্রে একটি ল্যাপটপ ও ইন্টারনেট সংযোগসহ একটি নিবন্ধন বুথ প্রস্তুত রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। নিবন্ধন সংক্রান্ত কাজে সহযোগিতার জন্য পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আওতাধীন মাঠপর্যায়ের সব কর্মকর্তাদের সহযোগিতা নেওয়ার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করা হলো।
৭ ফেব্রুয়ারি টিকা নেবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও মহাপরিচালক
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সারাদেশে একযোগে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হচ্ছে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি। ওইদিন টিকা নেবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. খুরশীদ আলম ঢাকা পোস্ট-কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। সেদিনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক টিকা নেবেন। আমিও সেদিন টিকা নেব। এছাড়াও পিএম (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) অফিসের কর্মকর্তাসহ অন্যান্য আরও এমপি-মন্ত্রীরাও টিকা নেবেন।
জেডএস