রাজধানীর কলাবাগানে ফারজানা আক্তার (১৩) নামে এক গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে গৃহকর্ত্রী-গৃহকর্তার বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে ওই গৃহকর্মীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করেছে কলাবাগান থানা পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে কলাবাগান থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) শামিম হোসেন বলেন, পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে কলাবাগানের সেন্ট্রাল রোডের বাসা থেকে ফারজানাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী গৃহকর্মীর বাবা বেলাল অভিযোগ করে বলেন, হাজারীবাগের বালুরমাঠ ভাই ভাই গলির একটি বাসায় থাকি। আমার মেয়েকে ওরা জোগালি কাজের জন্য নিয়ে যায়। দুই বছর ধরে কলাবাগানের হাতিরপুল মফিজবাগের ১০৬ বাসায় কাজ করছিল আমার মেয়ে। কিন্তু যাওয়ার পর থেকে যোগাযোগ করতে দিত না, নির্যাতন করত। ফোনেও কথা বলতে দিত না আমাদের সঙ্গে। ওকে খুন্তি দিয়ে মারছে, গরম পানি ঢেলে কান পর্যন্ত পুড়ে ফেলেছে। 

তিনি বলেন, বাসার মালিকের মেয়ে ফারজানাকে উলঙ্গ করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে এবং পা দিয়ে পেটে সজোরে পাঁচ-ছয়টা লাথি মারে। ফলে অসুস্থ হয়ে পড়ে। খবর পাওয়ার পর কলাবাগান থানায় অভিযোগ করি। এরপর পুলিশ গিয়ে আমার মেয়েকে উদ্ধার করে ঢামেকে ভর্তি করে। 

বেলাল বলেন, আমি নির্যাতনের বিচার চাই। এখনও মামলা কিংবা জিডি করা হয়নি। আপাতত চিকিৎসার জন্য দৌড়াদৌড়ি করছি। ঢামেক হাসপাতাল থেকে মেয়েকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছি। মেয়ে সুস্থ হওয়ার পর মামলা করব। 

রমনা বিভাগের কলাবাগান জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার শরীফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান জানান, আমরা প্রাথমিক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত দুজনকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। মেডিকেলে ভর্তির পর চিকিৎসকের প্রতিবেদনে আমরা আঘাতের কোনো তথ্য পাইনি। ভিকটিম পরিবারও লিখিত কোনো অভিযোগ বা মামলা করেনি। লিখিত অভিযোগ আসলে খতিয়ে দেখা হবে।

জেইউ/এসকেডি