আগামী নির্বাচনে সরকারি কর্মকর্তা ছাড়া কিছু নেই : জাফরুল্লাহ
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আরেকটা প্রহসনের খেলা হবে, যেখানে সরকারি কর্মকর্তা ছাড়া কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
তিনি বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশন আইন’-এর বিষয়ে আইনমন্ত্রী এতদিন বললেন এটা সময় সাপেক্ষ বিষয়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী খেলা দেখিয়ে দিলেন, বাঁদর নাচ দেখিয়ে দিলেন। আগের দিন পর্যন্ত বলেছেন, এটা করা যাবে না। এখন খসড়াই পাস করিয়ে দিলেন।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (১৯ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে এন্টি ড্রাগ সোসাইটি আয়োজিত ‘মাদকের ভয়াবহতা রোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, মাদকাসক্তি কেন্দ্রের দায়িত্ব দেওয়া হয় এমন ব্যক্তিদের, যারা আগে এসব জায়গা কাজ করেননি। তারপর ওপর তাদের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ কিংবা ডাক্তারি কোনো জ্ঞান নেই। উনার একমাত্র কোয়ালিফিকেশন আমলা। ঠিক একইভাবে এখন যে নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে, সেখানেও আমলারই প্রাধান্য পাচ্ছেন। ডিসি সাহেবরা ২৬৬টি দাবি করেছিলেন। তাদের সব ক্ষমতা দেওয়া হোক। তাদের জনগণের মতামত দরকার নেই, তাদেরই ক্ষমতা দেওয়া হোক।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, সরকার ডোপ টেস্টে অনেক উৎসাহী। কিন্তু কত জনকে ডোপ টেস্ট করাবেন। সব জায়গাতেই সরকারের ভুল নীতি। সরকার তো জনগণের প্রতিনিধি না, সরকার তো নির্বাচিত সরকার না। এ সরকার হলো ডাকাতির সরকার।
মাদকের বিষয়ে জিরো টলারেন্স শুধুমাত্র লোক দেখানো- এমন মন্তব্য করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের এই প্রতিষ্ঠাতা বলেন, সরকারের মাদকের বিষয়ে জিরো টলারেন্স শুধুমাত্র প্রচারের জন্য। তুমি যা পারো, করতে থাকো। আমি লুট করেছি রাতের বেলার ভোট, তুমি করো মাদক।
সিগারেট বন্ধ করে মাদক নির্মূলের অভিযান শুরু করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আজ আমাদের মাদকের বিষয়ে সতর্ক হতে হবে। এজন্য পথে-ঘাটে সিগারেট বিক্রি বন্ধ করতে হবে। সিগারেট খেলে কোনো পুলিশ কর্মকর্তা চাকরি পাবেন না। এখান থেকেই শুরু করতে হবে।
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক মো. আফজাল হোসেন, বাংলাদেশ গ্রাম ডাক্তার কল্যাণ সমিতির মহাসচিব আবু ইউসুফ বাদল, জাতীয় তরুণ সংঘের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফজলুল হক, বাংলা ভিশনের বার্তা সম্পাদক বদরুল আলম নাবিল, বিবেকের চেয়ারম্যান ইউসুফ মোল্লা টিপু প্রমুখ।
এমএইচএন/এমএইচএস