বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে ধানমন্ডির ৮/এ রোডে ইউনিমার্ট শপিং সেন্টার এলাকায় একটি কালো রঙের প্রাইভেটকার দ্রুত গতিতে এসে অল্পের জন্য একটি রিকশাকে ধাক্কা দেওয়া থেকে বেঁচে যায়। পরে ঘটনাস্থলে কর্তব্যরত ধানমন্ডি থানার উপ-পরিদর্শক মাহবুব উল আলম প্রাইভেটকারটি আটকে চালকের কাছে গাড়ির কাগজপত্র দেখতে চান।

কাগজপত্র দেখতে চাওয়ায় গাড়ির চালক প্রাঙ্গণ দত্ত অর্ঘ (৩৩) মদ্যপ অবস্থায় অকথ্য ভাষায় পুলিশের ওই কর্মকর্তাকে গালিগালাজ করেন। ওই গাড়ি চালকের পাশের সিটে বসে ছিলেন অভিনেত্রী স্পর্শিয়া। পরে প্রাঙ্গণের কাছে পুলিশ তার মদ্যপানের লাইসেন্স দেখতে চায়, কিন্তু সেই লাইসেন্স নেই জানিয়ে আরও চড়াও হন তিনি। 

এ ঘটনার পর কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যের সঙ্গে অসদাচরণ করার অভিযোগে স্পর্শিয়া ও তার বন্ধুকে ধানমন্ডি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে স্পর্শিয়ার বন্ধু প্রাঙ্গণ থানায় মুচলেকা দেওয়ার পর ছাড়া পান তারা। 

এ ঘটনার একটি ভিডিও ঢাকা পোস্টের কাছে এসেছে। ভিডিওটিতে দেখা যায়, স্পর্শিয়া ও তার বন্ধু প্রাঙ্গণ গাড়ির ডিক্কি খুলে পেছনে বসে রয়েছেন। এ সময় স্পর্শিয়াকে চিৎকার করে বলতে শোনা যায়, ‘অনেক হয়েছে সব কিছুর একটা লিমিট আছে, ছেলেটা সরি বলেছে আপনাদের।’ এ সময় উত্তেজিত গলায় প্রাঙ্গণকে বলতে শোনা যায়, ‘আপনাদের কাছে আমি সরি বলেছি আমাকে যেতে দিচ্ছেন না।’ এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে প্রাঙ্গণ পুলিশের উদ্দেশে বলেন, ‘চলেন আমাকে জেলে নিয়ে যান।’ এ সময় তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতেও শোনা যায়।

এ বিষয়ে শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) রাতে ধানমন্ডি থানার উপ-পরিদর্শক মাহবুব উল আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে আমি ধানমন্ডির ৮/এ রোডে ইউনিমার্ট শপিং সেন্টার এলাকায় ডিউটিতে ছিলাম। রাত ১২টার দিকে হঠাৎ একটি কালো রঙের প্রাইভেটকার আবাহনী মাঠের দিক থেকে এসে বেপরোয়া গতিতে আমাদের সামনে একটি রিকশাকে ধাক্কা দেওয়া থেকে অল্পের জন্য বেঁচে যায়। পরে গাড়িটিকে থামার সংকেত দিই। পরে কাছে গিয়ে দেখি গাড়িটি প্রাঙ্গণ নামে এক যুবক চালাচ্ছিলেন। তার পাশের সিটে বসা ছিলেন অভিনেত্রী স্পর্শিয়া। আমরা কেন গাড়িটি থামানোর সংকেত দিলাম এ জন্য প্রাঙ্গণ উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তখন তাকে আমরা জিজ্ঞেস করি তিনি কি মদ্যপ অবস্থায় রয়েছেন? তখন তিনি আমাদের বলেন, তার মদের লাইসেন্স আছে। কিন্তু সেটি দেখাতে পারেননি।

মদ্যপ অবস্থায় বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর জন্য এবং পুলিশের সঙ্গে খারাপ আচরণ করার জন্য স্পর্শিয়া ও তার বন্ধুকে রাতে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে প্রাঙ্গণ ক্ষমা চেয়ে মুচলেকা দিয়ে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তারা থানা থেকে চলে যান। এ ঘটনায় আর কোনো আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।

এমএসি/এসকেডি