তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেছেন, রাজনৈতিক ক্রীড়নক হিসেবে তাদের যেন কেউ ব্যবহার না করে। সরকারের কাছে খবর আছে, একটি চক্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ছাত্রছাত্রীদের ব্যবহার করার চেষ্টা করছে। অনেকে না বুঝেই ব্যবহৃত হচ্ছে। যেহেতু বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয় দেখছে আশা করব দ্রুতই এটির একটি যৌক্তিক সমাধান হবে।

সোমবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আমাদের সন্তানের মতো। তাদের দাবি দাওয়ার প্রতি সরকার সহানুভূতিশীল। আমরাও বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন নানা দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলন করেছি। ভিসির পদত্যাগের জন্য আমি নিজেও ছাত্র রাজনীতি করার সময় আন্দোলন করেছি। ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান ধর্মঘট আমরাও করেছি, আমি নিজেও করেছি। কিন্তু আমরা কখনো ভিসির বাড়ির বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করিনি। আজকে শুনলাম ভিসির বাংলোতে পানি প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না, ভিসির জন্য খাবার পাঠানো হয়েছিল, সেই খাবারও ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। 

তিনি বলেন, জেলখানার কয়েদিরাও খাবার পায়, পানি পায়। তাকে তো সেগুলো থেকে বঞ্চিত করা যায় না। যখন আন্দোলনের কথা বলে এগুলো করা হয়, সেগুলোকে তো আন্দোলন বলা যায় না। আমি ছাত্রছাত্রীদের অনুরোধ জানাব এ রকম কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার।  

মন্ত্রী বলেন, খাবার বন্ধ করে দেওয়া, ভিসির বাংলোয় কিংবা ক্যাম্পাসে বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া বা কেটে দেওয়ার জন্য চেষ্টা করা এ গুলোতো আন্দোলন হতে পারে না, এগুলো আন্দোলনের অংশ হতে পারে না। এগুলো তো প্রতিহিংসামূলক। 

উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের টানা আন্দোলনে গত ১১ দিন ধরে উত্তাল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। আন্দোলনের প্রথম ৬ দিনে দাবি পূরণ না হওয়ায় গত বুধবার বিকেল ৩টা থেকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আমরণ অনশনে বসেন বেশ কিছু শিক্ষার্থী।

পিএসডি/এসকেডি