বাংলাদেশ-ব্রিটেন সম্পর্কের ৪৯ বছর
ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন
স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্কের ৪৯ বছর পূর্ণ হলো আজ (৪ ফেব্রুয়ারি)। এ সময়ে ঢাকা-লন্ডনের সম্পর্ক শক্তিশালী ও ঘনিষ্ট হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক ৪৯ বছর পূর্ণ হওয়ার দিনে এক টুইট বার্তায় এমন মন্তব্য করেন হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন।
বিজ্ঞাপন
টুইটে ডিকসন লিখেন, ৪৯ বছরের সম্পর্ক শক্তিশালী ও ঘনিষ্ঠ হয়েছে। বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তি একসঙ্গে পালন করার জন্য তাকিয়ে আছি।
বিজ্ঞাপন
আগামী ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্ণ হবে। এর ১০ দিন আগে ১৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছরব্যাপী উদযাপন করবে বাংলাদেশ।
দিনটি উপলক্ষে ঢাকায় যুক্তরাজ্যের হাইকমিশন থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়েছে, এই দিনে স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য। ঐতিহাসিক এই স্বীকৃতি কমনওয়েলথ এবং তাদের আঞ্চলিক অংশীদারদের বাংলাদেশকে দ্রুত স্বীকৃতি দিতে উদ্ধুদ্ধ করেছে। দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ শেষে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। স্বাধীন হওয়ার পরের বছরের আজকের দিনে তথা ১৯৭২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় যুক্তরাজ্য। ইউরোপের দ্বিতীয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল যুক্তরাজ্য, এর আগে তৎকালীন পূর্ব জার্মানি প্রথম স্বীকৃতি দেয় বাংলাদেশকে।
আরও বলা হয়, সদ্য নতুন দেশ হিসেবে বাংলাদেশ পৃথিবীর মানচিত্রে আত্মপ্রকাশ করার পরের বছর ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি যুক্তরাজ্য সফরে করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেদিন বঙ্গবন্ধু হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর থেকেই তাকে রাষ্ট্রপতির প্রটোকল দেয় যুক্তরাজ্য। ওই সময় ছুটিতে ছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথ। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করার জন্য ছুটি শেষ না করেই ফিরে আসেন হিথ। বিমানবন্দর থেকে বঙ্গবন্ধু ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিথের সঙ্গে দেখা করেন।
সেই সফরে দেশটির তৎকালীন বিরোধীদলীয় দলের নেতা হ্যারল্ড উইলসনও দেখা করেন বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে। প্রথম দেখায় তিনি বঙ্গবন্ধুকে মিস্টার প্রেসিডেন্ট বলে সম্বোধন করেন।
যুক্তরাজ্যের হাইকমিশন জানায়, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছরে দেশটি দুই দেশের বন্ধন আরও শক্তিশালী করার জন্য তাকিয়ে আছে। একইসঙ্গে দেশটি সঙ্গে ঢাকার ৫০ বছর সম্পর্ক পূর্ণ হওয়ার সময়ে দুই দেশের মধ্যে শক্তিশালী বাণিজ্য, উন্নয়ন, নিরাপত্তা, শিক্ষা, প্রতিরক্ষা এবং মানুষে মানুষে যোগাযোগ বহুদূর এগিয়ে নিতে চায়।
এনআই/এসএম/এনএফ