প্রতিরক্ষা মহাহিসাব নিরীক্ষকের কার্যালয়ে অডিটর নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১০ জনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ডিএমপির গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের পক্ষ থেকে একটি মামলায় ৬ জন ও আরেকটিতে আটজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার এজাহার সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিমের এসআই (নিরস্ত্র) মো. আ. হান্নান বাদী হয়ে গত সোমবার রাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কাফরুল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় নং ৩১। মামলায় ছয় আসামির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ মামলার আসামিরা হলেন, মো. নোমান সিদ্দিকী (৪২), মাহমুদুল হাসান আজাদ (৪৫), নাইমুর রহমান তানজির (১৯), শহিউল্লাহ (২৬), ফারুক ও রায়হান।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে পরীক্ষার্থী সংগ্রহপূর্বক ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ও মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে নিয়োগ প্রার্থীদের পরীক্ষার হলে অবৈধভাবে এবং অর্থের বিনিময়ে প্রশ্নের উত্তর সরবরাহ করে পরীক্ষা পদ্ধতিতে অনিয়ম দুর্নীতি ও রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন। ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রের সঙ্গে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের হুবহু মিল পাওয়া গেছে।

অন্যদিকে সোমবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে রমনা থানায় একই আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করেন এসআই শহিদুর রহমান। মামলা নং ২১। ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে, আল আমিন আজাদ রনি (৩০), রাকিবুল হাসান (২৬), হাসিবুল হাসান (২৪), নাহিদ হাসান (২৬), মাহবুবা নাসরিন রুপা (৩১), রাজু আহমেদ (২৪), মো, নোমান সিদ্দিকী (৪২) ও মো. মাহমুদুল হাসান আজাদ (৪৫)।

উল্লেখ্য, গত ২১ জানুয়ারি বিকেলে অনুষ্ঠিত প্রতিরক্ষা মহাহিসাব নিরীক্ষকের কার্যালয়ে অডিটর নিয়োগ পরীক্ষায় কেন্দ্র থেকে ডিভাইসের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র বাইরে পাঠানো হয়েছিল। বাইরে থেকে সেই ফাঁস হওয়া প্রশ্নের উত্তর আবার পাঠানো হয় পরীক্ষা কেন্দ্রে নির্ধারিত পরীক্ষার্থীদের কাছে। প্রশ্নপত্র জালিয়াতির ঘটনায় ওই দিন চক্রের সাত সদস্য ও তিন পরীক্ষার্থীকে গ্রেফতার করে ডিএমপির গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের একটি দল।

গ্রেফতার হওয়া আসামিরা হলেন; নোমান সিদ্দিকী, মাহমুদুল হাসান আজাদ, আল আমিন রনি, নাহিদ হাসান, শহীদ উল্লাহ, তানজির আহমেদ, মাহবুবা নাসরীন রুপা, রাজু আহমেদ, হাসিবুল হাসান ও রাকিবুল হাসান।

গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে ইয়ার ডিভাইস ৬টি, মাস্টার কার্ড মোবাইল সিম হোল্ডার ৬টি, ব্যাংকের চেক ৫টি, নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ৭টি, স্মার্ট ফোন ১০টি, বাটন মোবাইল ৬টি, প্রবেশপত্র ১৮টি ও পরীক্ষার ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র ৩ সেট জব্দ করা হয়।

জেইউ/এসকেডি