বাংলাদেশ পুলিশই প্রথম ডোপ টেস্টের ব্যবস্থা নিয়েছে। পুলিশ সদস্যদের যাকেই সন্দেহ হয়েছে তারই ডোপ টেস্ট (মাদকাসক্তি পরীক্ষা) করানো হয়েছে। ডোপ টেস্টে ধরা পড়লে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত মাদক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ৩৭ পুলিশ চাকরিচ্যুত হয়েছেন।

বুধবার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সপ্তাহ-২০২২ এর চতুর্থ দিনের অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সদর দফতরের ডিআইজি (অপারেশনস মিডিয়া অ্যান্ড প্ল্যানিং) মো. হায়দার আলী খান এসব কথা বলেন।

পুলিশ সপ্তাহ-২০২২ উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বঙ্গভবন থেকে ভার্চুয়ালি ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। ভাষণে তিনি পুলিশের মাদক সংশ্লিষ্টতায় ক্ষোভ ও শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। 

পুলিশকে মাদক থেকে দূরে রাখার ব্যাপারে আলোচনা ও কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে মো. হায়দার আলী খান বলেন, অভিযোগ উত্থাপিত হলে অথবা যেকোনো সময় সেটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। একই সঙ্গে পুলিশের বিভাগীয় ব্যবস্থা চালু থাকে এবং নিয়মিত মামলা হয়। সুতরাং যেকোনো পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মাদকের অভিযোগ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

পুলিশই দেশে প্রথমবারের মতো ডোপ টেস্ট চালু করেছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারের অন্য কোনো বিভাগ আমাদের মতো সেভাবে ডোপ টেস্ট চালু করতে পারেনি। অর্থাৎ কোনো মাদকাসক্ত ব্যক্তি পুলিশে যোগদান করে কিনা তা আমরাই প্রথম যাচাই শুরু করি। পরবর্তীতে প্রতিনিয়ত এই ডোপ টেস্ট করা হয়ে থাকে। কেউ যদি ডোপ টেস্টে ধরা পড়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

আর মাদকাসক্ত প্রমাণিত হওয়ায় ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে অর্থাৎ তাদেরকে চাকরিচ্যুত হয়েছে। ডোপ টেস্টে এখন পর্যন্ত ৩৭ পুলিশ চাকরিচ্যুত হয়েছে।

জেইউ/ওএফ