ঘুষসহ গ্রেফতার বেবিচকের সেই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন
ঘুষসহ হাতেনাতে গ্রেফতার হওয়া বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সেই জুনিয়র লাইসেন্স পরিদর্শক ও কনসালট্যান্ট এইচএম রাশেদ সরকারের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
ঘুষের এক লাখ টাকাসহ রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে ২০১৯ সালের ৬ ডিসেম্বর এইচএম রাশেদ সরকারকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ওই দিনই ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর সহকারী পরিচালক তাহসিন মোনাবিল হক মামলা দায়ের করেন।
বিজ্ঞাপন
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিচালক জাহিদ কালামের সুপারিশের ভিত্তিতে কমিশন থেকে চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। শিগগিরই চার্জশিট আদালতে দাখিল করা হবে বলে জানান তিনি।
তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, দুই লাখ টাকা ঘুষ না দেওয়ায় দুই দফা বাণিজ্যিক পাইলট (সিপি) পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেননি সিভিল এভিয়েশনের জুনিয়র লাইসেন্স পরিদর্শক ও সংস্থাটির কনসালট্যান্ট এইচএম রাশেদ সরকার। পরে বাধ্য হয়ে দুই কিস্তিতে দুই লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে রাজি হন এক পাইলট।
ঘুষের প্রথম কিস্তির এক লাখ টাকা নিতে এসে দুদকের কাছে হাতেনাতে গ্রেফতার হন বেবিচকের ওই কর্মকর্তা। পরীক্ষায় অংশ নেওয়া পাইলটের পূর্বের দেওয়া অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদকের পাতা ফাঁদে রাজধানীর উত্তরার একটি রেস্তোরাঁয় বসে ঘুষ নেওয়ার সময় এ কর্মকর্তাকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মাসুদুর রহমানের নেতৃত্বে একটি দল গ্রেফতার করে।
বিজ্ঞাপন
এক পাইলট দুদকের কাছে অভিযোগ করেন, যোগ্যতা থাকার পরও শুধু ঘুষ না দেওয়ায় তাকে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের নেওয়া বাণিজ্যিক পাইলট (সিপি) পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দিচ্ছেন না রাশেদ। পাইলটের অভিযোগ পরীক্ষায় অংশ নিতে জুনিয়র লাইসেন্স পরিদর্শককে প্রত্যেক পাইলটের কমপক্ষে দুই লাখ টাকা করে দিতে হয়। কিন্তু তিনি ঘুষ না দেয়ায় ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় অংশ নিতে সুযোগ দেওয়া হয়নি।
পরে ৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত পরীক্ষায়ও পুনরায় কোনো ঘুষ দিতে রাজি না হওয়ায় পাইলটকে সুযোগ দেননি। ৯ ডিসেম্বরের পরীক্ষায় অংশ নিতে হলে ২ লাখ টাকা দিতেই হবে; অন্যথায় বাণিজ্যিক পাইলট হতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিলে ওই পাইলট দুদকে অভিযোগ করেন। তার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পরিদর্শক রাশেদকে ফাঁদ পেতে ঘুষের টাকাসহ গ্রেফতার করা হয়।
আরএম/আরএইচ