‘গণগ্রন্থাগারসহ বহুতল সমন্বিত নতুন ভবন নির্মাণ হবে’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের জ্ঞানমনস্ক, প্রজ্ঞাবান, উন্নত-সমৃদ্ধশালী সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে গ্রন্থাগারের উন্নয়নে বর্তমান সরকার ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের সভাকক্ষে ‘জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস ২০২১’ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রায় ৬৬৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরে বহুতল ভবন নির্মাণ হবে। ‘গ্রন্থাগার সেবার আধুনিকায়ন ও সমৃদ্ধকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর, সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগার এবং জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের জন্য ১১তলা বিশিষ্ট বহুতল সমন্বিত নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে।

কে এম খালিদ বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের এক হাজারটি গণগ্রন্থাগারে ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার’ স্থাপনের কাজ চলছে। বঙ্গবন্ধুর পিতার স্মৃতি রক্ষার্থে গোপালগঞ্জ জেলা সদরে শেখ লুৎফর রহমান গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্র নামে একটি অত্যাধুনিক প্রতিষ্ঠান নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে অনলাইনে বই সেবা প্রদানের লক্ষ্যে একটি প্রকল্প সম্প্রতি সমাপ্ত হয়েছে। তাছাড়া আরও বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ৪র্থ বারের মত উদযাপিত জাতীয় গ্রন্থাগার দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে- ‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, ঘরে ঘরে গ্রন্থাগার’ যা মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে অত্যন্ত গুরুত্ব ও তাৎপর্য বহন করে। আলোকিত জাতি গঠন ও জনগণকে গ্রন্থাগারমুখী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ দিবস উদযাপিত হচ্ছে।

সবাইকে দ্রুত কোভিড-১৯ টিকা গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটি একটি সম্পূর্ণ নিরাপদ উন্নতমানের টিকা। একটি বিশেষ মহল টিকা নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এসব অপপ্রচার ও গুজবের বিরুদ্ধে সবাই সোচ্চার হন।

সম্প্রতি আল জাজিরা সংবাদ মাধ্যমে সম্প্রচারিত প্রতিবেদন সম্পর্কে তিনি বলেন, এটি একটি মিথ্যা সংবাদ ও সাজানো চিত্রনাট্য। সরকারবিরোধী একটি অশুভ চক্র এর সঙ্গে জড়িত, যারা পদ্মা সেতু নির্মাণেরও বিরোধিতা করেছে। প্রধানমন্ত্রীর সময়োচিত পদক্ষেপ ও দৃঢ় সিদ্ধান্ত গ্রহণের ফলে পদ্মা সেতু আজ বিশ্ববাসীর সামনে দৃশ্যমান। তাই এসব অপচক্রের ষড়যন্ত্র কখনো সফল হবে না।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবুবকর সিদ্দিক, পরিচালক (লাইব্রেরি, উন্নয়ন ও আইসিটি) এ জে এম আব্দুল্লাহেল বাকী, পরিচালক (প্রশাসন ও হিসাব) তপন কুমার বিশ্বাস প্রমুখ।

এএসএস/এমএইচএস