বিএনএস গ্রুপের চেয়ারম্যান এম. এন. এইচ. বুলুর মুক্তির দাবি জানিয়েছেন তার মেয়ে নুসরাত লায়লা বুলু। তিনি বলেছেন, বিনা প্রমাণে, একই ধরনের তথ্যের ভিত্তিতে আমার বাবা তথা বিএনএস গ্রুপ অব কোম্পানিজের চেয়ারম্যান এম. এন. এইচ বুলুর বিরুদ্ধে একই মামলা বারবার করা হচ্ছে। আমার বাবার কোনো দোষ নেই, কোনো অপরাধ নেই। আমার বাবার এই মানি লন্ডারিং কেসে কোনো সম্পৃক্তা নেই। কোনো ধরনের প্রমাণ নেই আমার বাবার বিরুদ্ধে। তাও বিনা কারণে তিনি গত ৮০ দিন ধরে জেলহাজতে আছেন।

মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

নুসরাত লায়লা বুলু বলেন, এখানে কোনো রাজনীতি জড়িত নয়। এখানে সমস্যা হচ্ছে একই ধরনের তথ্য দিয়ে একই মামলা বারবার করা হচ্ছে। সিআইডিও করছে, আবার দুদকও করছে। আমার বাবা যার জন্য এই জেলহাজতে আছেন, সে হলো তার ভাই আমির হোসেন। কিন্তু আমাদের তার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। না ব্যবসায়িক, না পারিবারিকভাবে। আমার বাবা এই চক্রতে ফাঁসার পর থেকে তার এবং তার ভাইয়ের মধ্যে কোনো সম্পর্ক আর নেই। তারপরও আমার বাবা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন, কারণ আমার চাচা পলাতক।

লিখিত বক্তব্যে বুলুর স্ত্রী হোসনে আরা নাজ বলেন, আমির ফুড নামের একটি প্রতিষ্ঠানের রপ্তানির বিপরীতে সরকারি প্রণোদনার অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৫ সালের ৮ মার্চ বনানী থানায় একটি মামলায় এম. এন. এইচ. বুলুকে ১নং আসামি, অন্য একটি মামলায় আমির হোসেনের ব্যাংক হিসাবের নমিনী দেখিয়ে ৩নং আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু ওই ব্যাংক হিসাবের নমিনী ফর্মে এম. এন. এইচ. বুলুর কোনো স্বাক্ষর নেই। এ প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. আমির হোসেন। যিনি এম. এন. এইচ. বুলু’র প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকা অবস্থায় বুলুর অজান্তে এমন কাজ করেন।

তিনি বলেন, বিষয়টি ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের দালিলিক কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে বুলু’র নাম এজাহার থেকে বাতিল করার জন্য অবহিত পূর্বক ২০১৭ সালের ২২ জানুয়ারি আমির ফুডের সঙ্গে বুলুর কোনো সম্পৃক্তা এবং ব্যাংকের তার বিরুদ্ধে কোনো প্রকার অভিযোগ বা দাবি-দাওয়া নেই মর্মে একটি সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়। পরে চিফ মেট্রোপলিটন মাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক ওই মামলার চার্জশিট শুনানিতে ২০১৮ সালের ৫ ডিসেম্বর বুলুর সঙ্গে মামলার কোনো সম্পৃক্তা না পেয়ে অব্যাহতি দেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনএস গ্রুপ অব কোম্পানিজের মার্কেটিং ডিরেক্টর বড়ুন চন্দ্র সেন, হাজী আ. সাত্তার, ভাই সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন প্রমুখ।

এমএইচএন/এসএসএইচ