‘চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ (ত্রিশাল) মিলিটারি ফার্ম আধুনিকায়ন’ শীর্ষক একটি প্রকল্প মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদনের জন্য তোলা হবে। একনেক কার্যপত্রে থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

একনেক কার্যপত্র থেকে আরও জানা গেছে, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা সেনানিবাস ও ময়মনসিংহ মিলিটারি প্রশিক্ষণ এলাকায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। এর বাস্তবায়ন হলে মিলিটারি ফার্মগুলোতে তরল দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্যাদির উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে সামরিক ও বেসামরিক সদস্যদের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে। 

একনেকে অনুমোদন পেলে প্রকল্পটি চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর ২০২৬ সালে বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। প্রকল্পটির জন্য মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২৬৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।

প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রম হলো, উন্নতমানের প্রাণী শেড, ডেইরি প্লান্ট বিল্ডিং, মিল্কিং পার্লার শেড, ডেইরি ও খাদ্য গুদাম নির্মাণ, প্রকৌশল ও অন্যান্য সরঞ্জাম ক্রয়, ২২৫টি দেশি ও ২২৫ বিদেশি গাভী ক্রয় এবং যানবাহন ক্রয়।

পরিকল্পনা কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানায়, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে মিলিটারি ফার্মসমূহে দুধ উৎপাদন ৩৫ হাজার লিটার থেকে ৭০ হাজার লিটারে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার লক্ষ্য অর্জনের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। এছাড়া ২০২১-২২ অর্থবছরের এডিপিতে বরাদ্দবিহীন অননুমোদিত নতুন প্রকল্প তালিকায় প্রকল্পটি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

একনেক কার্যপত্রে প্রকল্পটির বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের মতামতে বলা হয়েছে, এটি বাস্তবায়িত হলে মিলিটারি ফার্মসমূহের তরল দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্যাদির উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সামরিক ও বেসামরিক সদস্যদের পুষ্টির চাহিদা পূরণ, গবাদি প্রাণীর জাত উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র বিমোচনসহ গুড়োদুধ আমদানি হ্রাস করে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় সম্ভব হবে। এজন্য প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে।

এসআর/আরএইচ