পাইলট বেসিস ৯টি জেলাকে স্মার্ট কৃষির আওতায় আনতে নতুন প্রকল্প হাতে নিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। আজ (৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ‘স্মার্ট কৃষি কার্ড ও ডিজিটাল কৃষি (পাইলট)’ শীর্ষক প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে।

একনেকে অনুমোদন পেলে জুলাই ২০২১ সাল থেকে সেপ্টেম্বর ২০২৪ সালে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। প্রকল্পটিতে মোট ব্যয় হবে ১০৭ কোটি ৯২ লাখ টাকা।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়সহ ১৪টি কৃষি অঞ্চলের ৯টি জেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। গোপালগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, টাঙ্গাইল, বরিশাল, যশোর, দিনাজপুর, রাজশাহী, বান্দরবান ও ময়মনসিংহ জেলার সব উপজেলা ও মেট্রোপলিটন এলাকায় প্রকল্পের কাজ করা হবে।

এই প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকের ডিজিটাল পরিচিতি হিসেবে স্মার্ট কৃষি কার্ড ব্যবহার করে প্রতিটি কৃষকের জন্য এলাকা ও চাহিদাভিত্তিক কৃষি সেবা প্রদান করা হবে। একইসঙ্গে ডিজিটাল বিশ্লেষণ ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কৃষি তথ্যের আদান-প্রদান নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রম হচ্ছে : কৃষি বাতায়নে ১.৬২ কোটি কৃষকের ডিজিটাল প্রোফাইল প্রস্তুতকরণ, ১.০৯ কোটি কৃষকের মাঝে স্মার্ট কৃষি কার্ড বিতরণ, ১.২০ কোটি কৃষকের নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নাগরিকত্বের তথ্য যাচাইকরণ, ৩১টি মডিউলে স্মার্ট কৃষি কার্ড ডাটাবেইজ ক্লাস্টার, কৃষক সেবা, রিপোর্টিং সফটওয়ার ও অ্যাপস প্রস্তুতকরণ, ডিজিটাল কৃষি ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে টিওটি প্রশিক্ষণ, অফিসার প্রশিক্ষণ, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ, আইসিটি চ্যাম্পিয়ন কৃষক/কৃষি উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ, ১৪টি কৃষি উদ্ভাবন শোকেসিং এবং ৩টি জাতীয় ও ১৪টি আঞ্চলিক কর্মশালা আয়োজন করা।

পরিকল্পনা কমিশনের সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রকল্পটি ২০২১-২২ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দবিহীন অননুমোদিত নতুন প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এছাড়া অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় কৃষি খাতের ফসল উপখাতের অন্যতম কৌশল হলো তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিভিত্তিক জ্ঞান ব্যবস্থাপনা, ডিজিটাল কৃষিকে শক্তিশালী করা এবং উন্নত প্রযুক্তিগত সেবা প্রদানের মাধ্যমে কৃষকের সক্ষমতা ও আয় বৃদ্ধি করা। সার্বিকভাবে এই প্রকল্পটি এসডিজি’র লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ।

পরিকল্পনা বিভাগের সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, প্রকল্পটি আজ একনেক সভায় উঠবে। এটি বাস্তবায়িত হলে ডিজিটাল কৃষি প্রোফাইল তৈরি, স্মার্ট কৃষি কার্ড বিতরণ, ডিজিটাল কৃষি তথ্য বিশ্লেষণ ও তথ্যের সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের সাহায্যে কৃষকের কৃষি উৎপাদনের সিদ্ধান্ত ও পরিকল্পনা গ্রহণ সহজ হবে।

এসআর/এমএইচএস